গড়িয়াহাটের জোড়া খুন চাঞ্চল্যকর তথ্য: অতীতেও সাংঘাতিক অপরাধে যুক্ত অভিযুক্তরা!

0
2

গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়ায় কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি (Subir Chaki) ও তাঁর চালক রবীন মণ্ডলের (Rabin Mondol) খুনের ঘটনায় ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মিঠু হালদার (Mithu Halder) নামে এক মহিলাকে। তিনি আয়ার কাজ করতেন। একইসঙ্গে আটক করা হয়েছে তাঁর ছোট ছেলে বিলাস, স্বামী এবং ভাইকে। তবে ঘটনার মূল অভিযুক্ত মিঠু হালদারের বড় ছেলে ভিকি এখনও পলাতক। গোটা ঘটনায় মিঠুর মদত ছিল বলেই জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন – উয়েফা চ‍্যাম্পিয়ন্স লিগে দুরন্ত জয় ম‍্যানইউর, দু’গোলে পিছিয়ে থেকেও ৩-২ গোলে হারাল আটালান্টাকে

পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ি বিক্রি নিয়ে কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন সুবীর চাকি। সেই সূত্র ধরেই যান ভিকি কিন্তু দাম নিয়ে গন্ডগোলে গাড়ি বিক্রিতে রাজি হননি সুবীর। এর কিছুদিন পরে পরিচয় বদলে ফের যান ভিকি। তাঁদের মধ্যে এই নিয়ে বচসা হয় বলে খবর। তখন সুবীর তাঁকে চিনে ফেলাতেই খুন বলে অনুমান। খুনের পর সঙ্গে থাকা মানিব্যাগ, সোনার চেন নিয়ে পালায় অভিযুক্তরা ছেলেকে পালানোর পথ বাতলে দিয়েছিলেন মিঠুই- জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা।

মঙ্গলবার রাতেই ডায়মন্ড হারবারে যান গোয়েন্দারা। ওই রাতেই মিঠুর ভাড়াবাড়িতে তল্লাশি করেন। বুধবার সকাল থেকেই মিঠু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

মিঠু হালদার এবং তার বড় ছেলে ভিকি দুজনেরই অতীত স্বচ্ছ নয়। স্বামীকে খুন করার চেষ্টার অভিযোগে এর আগেও মিঠুকে জেল খাটতে হয়েছে। জেলে ছিলেন তাঁর বড় ছেলে ভিকি ও ছোট ছেলে বিলাসও।

দীর্ঘদিন স্বামীকে ছেড়ে দুই ছেলে নিয়ে থাকতেন মিঠু হালদার। হঠাৎই বছরখানেক আগে ভোলবদলে কাঁকুলিয়ায় বাবার কাছে হাজির হন ভিকি। নিজেকে মেট্রো রেলের ইঞ্জিনিয়র হিসেবে পরিচয় দিয়ে আত্মীয়দের সঙ্গে অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলছিলেন মাধ্যমিক অনুত্তীর্ণ ভিকি। গাড়ি চড়ে শ্যুটবুট পরে গিয়েছিলেন বলে জানান তাঁর কাকা। একসঙ্গে থাকার কথা বলে বাবাকে ডায়মন্ড হারবারে নিয়ে যান ভিকি। সেখানেই বাবাকে খুনের চেষ্টা করে। অভিযোগ ভিকির কাকার। এর সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত? বা অন্য কোনও রহস্য আছে কি না তা জানতে চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

advt 19