পুজো কাটতেই রাজনীতির ময়দান ফের সরগরম। আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন। শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্ট-ডাউন। আজ, রবিবার সকাল থেকেই প্রচারে ঝাঁপিয়েছে সব দল। এদিন উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ কেন্দ্রে ভোটের প্রচারে বেরিয়েছিলেন বিজেপির তরুণ প্রার্থী জয় সাহা। বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে করতে হঠাৎ সুকৌশলে পৌঁছে যান প্রয়াত তৃণমূল নেতা কাজল সিনহার বাড়িতে।



জানা গিয়েছে, প্রয়াত তৃণমূল নেতার ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন বিজেপি প্রার্থী। কাজল সিনহার স্ত্রী নন্দিতাদেবীর কাছে আশীর্বাদও প্রার্থনা করেন বিজেপি প্রার্থী জয়। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে সৌজন্য বিনিময় হয়। বাইরে এসে বিজেপি প্রার্থী জয় সাহার দাবি, নন্দিতাদেবী তাঁকে শুধু আশীর্বাদ করে জয়ী হওয়ার কথাও নাকি বলেন। এরপরই খড়দহ এলাকাজুড়ে আলোড়ন তৈরি হয়। তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, আদৌ কী ঘটেছে তাঁর জানা নেই। বিরোধী দলের প্রার্থী বাড়িতে ভোট চাইতে গেলে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় হতেই পারে। তবে প্রয়াত কাজল সিনহার স্ত্রী বিজেপি প্রার্থীর জয়ের জন্য আশীর্বাদ করবেন, সেটা তিনি বিশ্বাস করেন না। বিতর্ক উড়িয়ে নন্দিতা সিনহা বলেন, “আমার দিক থেকে, আমি ওনাকে আশীর্বাদ করেছি। এটা আমাদের দল তৃণমূলের শিক্ষা, বিরোধী কোনও প্রার্থীকে কোনও দলকে আমরা অপমান করব না।”
উল্লেখ্য, কাজল সিনহা তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সৈনিক বলেই পরিচিত ছিলেন। খড়দহ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় কাজল সিনহা খুব দক্ষ সংগঠক ছিলেন। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অসুস্থ থাকায় একুশের নির্বাচনে খড়দহ থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কাজল সিনহা। ম্যারাথন ভোট পর্বের মাঝেই করোনা আক্রান্ত হন কাজলবাবু। গণনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। এবং ফলাফল বেরোনোর পর দেখা যায় ২৮ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন প্রয়াত কাজল সিনহা।