লাখো পর্যটক আর ভক্তদের উপস্থিতিতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে হয়ে গেল দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জন।
প্রতি বছর কক্সবাজার সৈকতে বিসর্জন উপলক্ষে ঢল নামে লাখো মানুষের। কিন্তু এবার স্বাস্থ্যবিধি পালনের মাধ্যমে বিসর্জনের সিদ্ধান্ত থাকায় অনেকটা ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই সম্পন্ন হয় বিসর্জন। শুধু হিন্দু নয়, বিসর্জনে অংশ নিয়েছিলেন অন্য ধর্মের মানুষরাও। ছিলেন বিদেশী পর্যটকরাও।

ঢোল, তবলা, বাঁশিসহ নানা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে সৈকতে ভিড় জমায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তারা একে-অপরকে রং ছিটিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন। বর্ষণমুখর বিকেল ৫টার মধ্যেই সৈকতের লাবণী পয়েন্টের এক কিলোমিটার এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। এ সময় দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরাও ভিড় করেন কক্সবাজার সৈকতে। জাতি-ধর্মনির্বিশেষে স্থানীয়দের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়। সবার আগমনে বাংলাদেশ যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে অনন্য একটি দেশ, এটি তার প্রমাণ বলে মনে করছেন সনাতনী সম্প্রদায়ের মানুষ।

এদিকে বিসর্জন অনুষ্ঠানকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলা প্রশাসন। জেলা পুলিশের পাশাপাশি, বিচকর্মী, ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম ও সাদাপোশাকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

আরও পড়ুন- দশমীতে গঙ্গায় কড়া নজরদারিতে বিসর্জন, দই ঘাটে অভিনব ব্যবস্থা



































































































































