বিজেপির মিথ্যাচারের জবাবে তুলে ধরতে হবে বাংলার উন্নয়ন, বললেন মহুয়া

0
3

বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার শান্তিপুরের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। ভাঙনরোধ থেকে শুরু করে পুর এলাকায় উন্নয়ন– বিন্দুমাত্র উদ্যোগ নেননি। লোভের কারণে বিধায়কপদে জয়লাভ করার পর ইস্তফা দিয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন সাংসদ-পদে। তাই মানুষ আগামী বিধানসভা উপনির্বাচনে ভোটের মধ্যে দিয়ে তার জবাব দেবেন। মঙ্গলবার এইভাবে বিজেপিকে তুলোধনা করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর কথায়,‘সরকারের উন্নয়নকে সামনের সারিতে আনতে হবে ভোটের প্রচারে। বিজেপি যে উন্নয়ন না করে ধাপ্পাবাজি দিয়ে চলে, মিথ্যাচার করে, তার প্রমাণ স্বয়ং স্থানীয় সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি শান্তিপুরের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।”

আরও পড়ুন-পূর্ণ উদ্যমে ভোটের প্রচারে নেমে পড়েছেন দিনহাটার প্রার্থী উদয়ন

মহুয়া মৈত্রের বিশ্বাস, “মা-মাটি-মানুষের সরকার মানুষের জন্য কাজ করে, মানুষের জন্য উন্নয়নমুখী কাজ করে চলছে। সরকারের রয়েছে একাধিক প্রকল্প। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজসাথী ইত্যাদি একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন মানুষ। তাই আগামী উপনির্বাচনে মানুষ দু হাত তুলে আশীর্বাদ করবেন। রেকর্ড ভোট পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী জয়লাভ করবেন।

এদিন মহুয়া জগন্নাথকে আক্রমণ করে বলেন, ‘বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার ধোঁকা দিয়েছেন। উন্নয়নের নামে মানুষকে মিথ্যা কথা বলেছেন, প্রতারণা করেছেন। তাই এখন থেকেই আমাদের সরকারের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’ সেই মতো নির্দেশ দিলেন বুথস্তরের কর্মী-সমর্থকদের।

শান্তিপুর পুরসভা সংলগ্ন তৃণমূল ভবনে শান্তিপুর পুরসভা এবং শান্তিপুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাসভা আয়োজিত হয় মঙ্গলবার। সভায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী ছাড়াও ছিলেন বৃন্দাবন প্রামাণিক, নিমাই বিশ্বাস, রিক্তা কুণ্ডু, রত্না ঘোষ কর প্রমুখ।

আরও পড়ুন-৪০ হাজার পুজো কমিটিকে অনুদান হিসেবে ২০২ কোটি টাকা দিচ্ছে রাজ্য

শান্তিপুর বিধানসভায় বুথের সংখ্যা ১৩৪। জেলা সভাপতি রত্না ঘোষ কর জানিয়েছেন, ‘প্রতিদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন নেতা-কর্মীরা। বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হয়েছে মানুষের। উপনির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করবেন আমাদের প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী।’

advt 19