কংগ্রেস-সিপিএমের মোট ভোটকে ছাপিয়ে সামশেরগঞ্জে রেকর্ড জয় তৃণমূলের

0
1

একদা কংগ্রেস গড় হিসেবে পরিচিত মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ নির্বাচনে তৃণমূল জিততে চলেছে সে আভাস পূর্বেই পাওয়া গিয়েছিল। তবে নিজের গড়ে রীতিমত নাস্তানাবুদ হল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, চতুর্মুখী লড়াইয়ে সামশেরগঞ্জে সিপিএম ও কংগ্রেসের মিলিত ভোটকে ছাপিয়ে গেল ঘাসফুল শিবির। রাজ্যে লাগাতার কংগ্রেসের রক্তক্ষরণের পর এদিনের নির্বাচনের ফলাফল কার্যত স্পষ্ট করে দিল মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস তাদের গড় হারিয়েছে। শক্তি বাড়িয়ে এই অঞ্চলে ‘আসল কংগ্রেস’ হয়ে উঠেছে তৃণমূল।

সামশেরগঞ্জের নির্বাচনকে ঘিরে এবার বাম- কংগ্রেস জোট শিবিরে শুরু থেকেই সংঘাতের আবহ চোখে পড়েছিল। সামশেরগঞ্জ প্রার্থী দিতে মরিয়া কংগ্রেস সিপিএমকে এই আসন ছাড়তে রাজি ছিল না। ফলস্বরূপ দুই তরফেই দেওয়া হয় প্রার্থী। কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী ছিলেন জইদুর রহমান এবং সিপিএমের মোদাসসর হোসেন। বিজেপি তরফে এই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন মিলন ঘোষ। তবে ভোট গণনা শুরু থেকেই সকলকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে থাকেন তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম। ২৪ রাউন্ড গণনা শেষে দেখা যায় ২৬,১১১ ভোটে জিতেছেন তিনি। শুধু তাই নয় সিপিএম ও কংগ্রেসের মিলিত ভোটের তুলনায় অনেক বেশি ভোট পেয়েছেন আমিরুল ইসলাম। তার প্রাপ্ত ভোট ৯৬,১২০। পাশাপাশি কংগ্রেস ও সিপিএম পেয়েছে যথাক্রমে ৭০,০০৯ ও ৬,১৪৫ ভোট অন্যদিকে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১০,৭৭৭।

আরও পড়ুন:ভবানীপুরে জয়ের দিনই তিন উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূল সুপ্রিমোর

উল্লেখ্য, বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়নি। ফলস্বরূপ ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের পাশাপাশি এই দুটি কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছিল কমিশন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছিল ৭৯.৯২ শতাংশ। রবিবার ভোট গণনায় কংগ্রেস সিপিএমকে কার্যত ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে বিপুল জয় পেলেন তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম। শুধু সামশেরগঞ্জ নয়, ভবানীপুর কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে জঙ্গিপুরেও বাকিদের পিছনে ফেলে বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন।

advt 19