ঘটনার ঘনঘটায় শেষ হল ভবানীপুরের উপনির্বাচন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ৫৩ শতাংশ। তৃণমূল (Tmc) নেতৃত্বের মতে, ২০১১-র থেকেও বেশি ব্যবধানে জিতবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোটদান খুবই ভালো। তাঁর মতে, ভবানীপুরে প্রতিটি বুথে প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের অস্তিত্বই নেই। সেখানে এই ভোটদান ভালো লক্ষণ। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের (Shobhandeb Chatterjee) মতে, তিনি যত ভোটে এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন, তার থেকেও অনেক বেশি ব্যবধানে জিতবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
পরিসংখ্যান বলছে, উপনির্বাচনের হিসেবে ভবানীপুরে (Bhawanipur) এবারের ভোটদানের হার যথেষ্টই ভালো। ২০১১ সালে ভবানীপুরে উপনির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৪৫ শতাংশ। এবার সেখানে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৩ শতাংশ।
সকাল থেকেই ভবানীপুরে গণতন্ত্রের উৎসবের ছবি ধরা পড়ে। নবতিপর বৃদ্ধা থেকে শুরু করে হুইল চেয়ারে বসা অশক্ত-বয়স্করা ভোট দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার, ভবানীপুরের ভোটে বর্ষীয়ান নাগরিক এবং মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন-বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বিঘ্নে সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুরে ভোটগ্রহণ
যদিও সকালের দিকে এই কেন্দ্রে ভোটদানের হার বেশ কম ছিল। একসময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মাইকিং করতে শোনা যায়, “গণতন্ত্র রক্ষার জন্য ভোট দিন। আপনাদের সুরক্ষার পুরো ব্যবস্থা রয়েছে”। তৃণমূল কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করেন। বেলা গড়ানোর পরে বেশিরভাগ বুথেই ভোটারদের লাইন চোখে পড়ে।
এই কেন্দ্রের ভোটার তৃণমূলনেত্রী তথা প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay), রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। দুই মন্ত্রী সপরিবারে গিয়ে ভোট দেন। দিদি ও স্ত্রীকে নিয়ে ভোট দেন মদন মিত্র। তিনটের পরে ভোট দেন মুখ্যমন্ত্রী। চারটে কুড়ি নাগাদ ভোট দেন অভিষেক।ভোটদানের পরে তাঁর অতি সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “ভোটগ্রহণ ভালো হচ্ছে”।
বিভিন্ন জায়গায় ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ তোলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। কিন্তু কমিশনে তাঁর কোনও অভিযোগে ধোপে টেকেনি। শেষবেলায় হিন্দুস্থানি আওয়াম মোর্চার প্রার্থীর এজেন্ট হিসেবে ভবানীপুর কেন্দ্রে গিয়ে উত্তেজনা তৈরি চেষ্টা করেন বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে। তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ পুলিশের তরফ থেকে ভুয়ো প্রমাণিত হয়। ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বিজেপি ভেবেছিল ভবানীপুরে নন্দীগ্রামের মতো ঘটনা ঘটাবে। এই কেন্দ্রে কোথাও রিগিং হয়নি। ভবানীপুরে বিজেপির হারের পর ফুল পাঠাব।”




















































































































































