প্রবল বৃষ্টিতে বাঁকুড়ার শিলাবতী ও গন্ধেশ্বরী নদীর জল উপচে  প্লাবিত বহু এলাকা

0
1

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের জেরে গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বর্ষণ হয়েছে বাঁকুড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। প্রবল বৃষ্টিতে শহরের সাথে দক্ষিণ বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে বহু এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বাঁকুড়ার ঝাড়গ্রাম ৯ নম্বর রাজ্য সড়কে সিমলাপালে শিলাবতী নদীর সেতুর প্রায় ৫ ফুট উপর দিয়ে জল বয়ে যাচ্ছে। নদীর দু’পাড়ে থাকা শবদাহ সেডের ছাদের দেড় ফুট নিচে দিয়ে জল বইছে। ফলে নদীর দু’পাশে শবদাহ করার জায়গা পর্যন্ত নেই ।

আনন্দপুর গঙ্গামেলা সংলগ্ন একাধিক গুমটি সহ দোকান ঘর জলের তোড়ে ভেসে গেছে। যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের ছাদের পাশ দিয়ে জল বইছে। জঙ্গলমহলের একাধিক ভাসা পুল ভেঙে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শিলাবতী সেতু পারাপার করতে না পারায় অন্তত দু লক্ষ মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে। যদিও হাতিবারি গ্রামে হাসপাতাল আছে কিন্তু সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের শিলাবতী সেতু পেরিয়ে হাসপাতালে আসতে হয়। ফলে হাসপাতাল বন্ধ আছে। খাতড়া মহকুমা শাসক মৈত্রী চক্রবর্তী জানালেন দুপুর ১২ টা পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুযায়ী খাতড়া মহকুমায় ২৮৯টি মাটির বাড়ি ভেঙ্গে গেছে। শিলাবতী নদীতে পার হওয়ার সময় যফলা গ্রামের সুভাষ গুলিমাঝি(৫০) বন্যার জলে ভেসে গেছেন। উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া বাঁকুড়া শহরের গন্ধেশ্বরী নদীর জল উপচে বাইপাস সংলগ্ন রাস্তা জলের তলায় চলে গেছে। শহরের একাধিক রাস্তায় গন্ধেশ্বরী নদীর জল ঢুকে পড়ায় শহরের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে জেলায় অন্তত কয়েক হাজার মাটির বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। ধান এবং সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে জানা গেছে ১৯৭৮ সালে সিমলাপালে সেতু সংলগ্ন যে সীমানা পর্যন্ত জল উঠেছিল বৃহস্পতিবার সেই জায়গা পর্যন্ত জল উঠেছে। প্রায় ১৮ ঘন্টা বৃষ্টি বন্ধ থাকার পর ফের এদিন দুপুর থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মহাকুমা শাসক জানিয়েছেন প্রশাসন সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে।

advt 19