হুগলির বনেদি বাড়ির প্রাচীন দুর্গাপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম গোঘাটের রাধাবল্লভপুর গ্রামের ঘণ্টেশ্বরী (Ghanteswari) পরিবারে দুর্গাপুজো। প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো এই দুর্গাপুজো। এক সময় ঘণ্টেশ্বরী পরিবার ছিল এলাকার জমিদার। পরিবারের সদস্যরা এখনো সেই প্রাচীন ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রেখেছে এই পরিবার। কোথাও বিন্দুমাত্র জৌলুস কমতে দেয়নি।
প্রাচীনকাল থেকেই একইভাবে রীতিনীতি মেনে হয়ে আসছে এই পুজো। তবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেশকিছু পরিবর্তন হয়েছে। এই পুজোর বিশেষ তাতপর্য হল মহালয়ার পরের দিন অর্থাৎ প্রতিপদ থেকেই ঘট উত্তোলন করে দেবী মূর্তি পুজো শুরু হয়। এদিন বাড়ির সকলে মিলে ধুমধাম করে এক সঙ্গে বাড়ির কাছের নদীতে (Rjver) ঘটে জল ভরে পুজোর সূচনা করেন। এই সময়ে বাড়ির সদস্যরা একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেন। এটা বংশ-পরম্পরা ধরে আজও এই ঐতিহ্য বজায় রয়েছে। এই রান্নায় সহযোগিতা করেন বাড়ির মহিলারা থেকে শুরু করে সকল সদস্য। ঘণ্টেশ্বরী পরিবারের দেবী দুর্গার আরাধনায় সপ্তমী, অষ্টমীও নবমী তিন দিনই বলির প্রথা প্রথম থেকেই প্রচলন আছে। এছাড়াও ছাঁচি কুমড়ো, কলা বলি দেওয়া হয়। এই পরিবারের পুজোতে নরনারায়ণ সেবার আয়োজন করেন পরিবারের সদস্যরা।
পরিবারের এক সদস্য জলধর ঘণ্টেশ্বরী জানান, তাঁদের পূর্বপুরুষের আমল থেকে হয়ে আসা এই দুর্গাপুজো হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যেও কখনো বন্ধ হয়নি। এমনকী, প্রাকৃতিক দুর্যোগকেও উপেক্ষা করে এই পুজো করে আসছেন ঘণ্টেশ্বরী পরিবারের সদস্যরা।












































































































































