গত সপ্তাহেই দিলীপ ঘোষকে(Dilip Ghosh) সরিয়ে রাজ্য বিজেপির(BJP) শীর্ষ পদে বসানো হয়েছে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে(sukanta Majumdar)। দিলীপ ঘোষকে দেওয়া হয়েছে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদ। বড়সড় এই রদবদলের পর প্রথমবার এই দুই নেতৃত্বকে দিল্লিতে তলব করলেন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা(JP nadda)। সোমবার সন্ধ্যাতেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তারা। জানা গিয়েছে, সুকান্ত ও দিলীপের পাশাপাশি দিল্লিতে ডাক পড়েছে রাজ্য বিজেপি নেতা অমিতাভ চক্রবর্তীরও(Amitabh Chakraborty)। বিজেপি সূত্রে খবর, বঙ্গের সংগঠন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা উদ্দেশ্যেই এই জরুরি তলব।
জানা গিয়েছে, রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের এই দিল্লি সফরে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার পাশাপাশি বৈঠক হতে পারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও। বিজেপি সূত্রে যতদূর খবর তাতে, প্রধান বিরোধী দল হিসেবে রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের আত্মপ্রকাশের পর এবার নতুন করে রাজ্য কমিটি তৈরির সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিজেপি। শোনা যাচ্ছে এই কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব দেন প্রাধান্য দিতে আগ্রহী শীর্ষ নেতৃত্ব। এবং তুলনামূলক ভাবে যারা নিষ্ক্রিয় তাদের ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটা হতে পারে। এই বিষয়ে আলোচনার জন্যই সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহের সঙ্গে তাদের বৈঠক রয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন:টিভিতে তাঁকে মার খেতে দেখে মজা নিচ্ছিলেন বিজেপি নেতারা! যাদবপুরকাণ্ডে তোপ বাবুলের
তবে হঠাৎ এই জরুরি তলবের পিছনে উঠে আসছে আরও একটি কারণ। রাজনৈতিক মহলের দাবি সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি সম্প্রতি রাজ্য সভাপতির পদ থেকে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে তাঁকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে। ফলস্বরূপ বিজেপির সাংগঠনিক দিক থেকে জেপি নাড্ডার পরে দিলীপের স্থান। এই গুরুদায়িত্ব সবিস্তারে দিলীপ ঘোষকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য এই তলব বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে বঙ্গে বিজেপি সংগঠন যে আপাদমস্তক ভোল বদলে নতুনভাবে রণকৌশল সাজাতে চলেছে তা হঠাৎ সুকান্ত-দিলীপ-অমিতাভকে তলব থেকেই কার্যত স্পষ্ট।











































































































































