স্থলভাগে ঝড় আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই অন্ধ্রের শ্রীকাকুলামে শুরু হয় গুলাবের দাপট। ইতিমধ্যেই শ্রীকাকুলামে নিখোঁজ ছয় মৎস্যজীবীর মধ্যে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বাকিদের খোঁজ জারি রয়েছে। ঝড়ের দাপটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই উল্টে যায় তাঁদের নৌকা। জানা গিয়েছে, ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন এক ব্যক্তি।
’গুলাব’ আছড়ে পড়তেই অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলামে মান্দাসা উপকূলের কাছে একটি নৌকা উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।সেখানে ৬ মৎস্যজীবী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন নিরাপদে উপকূলে উঠে আসেন। কিন্তু দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, এক মৎস্যজীবী এখনও নিখোঁজ।কলিঙ্গপত্তনমের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মোট ৬১টি ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন ১ হাজার ১০০ জন।। তেলঙ্গানার মুখ্যসচিব সংশ্লিষ্ট দফতরের সমস্ত সরকারি কর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছ। আবহাওয়া দফতর উত্তর তেলেঙ্গানায় লাল সতর্কতা এবং দক্ষিণ অংশে কমলা সতর্কতা জারি করেছে।
এদিকে  ওড়িশার প্রশাসন সূত্রের খবর, গঞ্জাম  জেলার গোসানিনুগাঁও ব্লকে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন এক ব্যক্তি।ঝড়ে মালকানগিরির খারপুট ব্লকে একটি বড় গাছ পড়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক জানান, সাতটি হাইরিস্ক জেলা রয়েছে। গঞ্জম, গজপতি, কান্ধামাল, কোরাপুট, রায়গড়, নবরঙ্গপুর ও মালকানগিরি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, প্রবল বৃষ্টি হবে মালকানগিরি, কোরাপুট, গঞ্জাব, গজপতি, রায়গড় জেলায়। আজ, সোমবার বিকেল থেকেই বৃষ্টিপাত শুরু হবে বলে মনে  করা হচ্ছে ।ওডিশার উপকূল থেকে ৩৯,০০০ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 





























































































































