পেগাসাস মামলায় (Pegasus Case) ইতিমধ্যেই একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার তদন্তের জন্য কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে কেন্দ্রের ওপর চাপ আরও বাড়াল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
কেন্দ্রের ভূমিকায় বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করে দিন কয়েক আগেই শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, ‘রায় ঘোষণা ছাড়া আর অন্য কোনও পথ নেই!’
আর বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এম ভি রমন স্পষ্ট করে দিলেন, তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হবে।আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ নির্দেশ দেবে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি এম ভি রমন এই মামলার শুনানিতে বলেছেন, ‘এই সপ্তাহেই আমরা অন্তর্বর্তী রায় দিতে চাই।সরকার বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে চাইছে। কিন্তু এক সদস্য ব্যক্তিগত কারণে কমিটিতে থাকতে রাজি হননি। এইজন্য মামলায় দেরী হচ্ছে।’
এর আগে শীর্ষ আদালত পেগাসাস মামলার গুরুত্ব স্বীকার করে নিয়েছিল। আদালত জানিয়েছিল, ”এই অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর, সত্য সামনে আসবেই। আমরা যদিও জানি না সত্যাসত্য ঠিক কী, তবে অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে অপরাধীর নাম সকলের সামনে আসবে।” পেগাসাস মামলায় কেন্দ্রকে বারবার হলফনামা দিতে বলা হলেও সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা আদালতে যুক্তি দেন, বিষয়টি জাতীয় সুরক্ষার বিষয়। সেক্ষেত্রে পাল্টা প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘জাতীয় সুরক্ষার বিষয়ে আমরা জানতে চাই না। কিন্তু, সাধারণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা, সেই তথ্য হলফনামা আকারে জানতে চাওয়া হয়েছিল।” তিনি আরও বলেন, ”জাতীয় সুরক্ষা বা প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত দেশের কোনও তথ্য জানার ইচ্ছে আমাদের কারও নেই। কিন্তু যে গুরুতর প্রশ্নটা উঠছে, তা হল, সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রদত্ত অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা। অর্থাৎ, আইন স্বীকৃত কোনও পদ্ধতি ব্যতীত অন্য কোন উপায়ে রাজনীতিক, সাংবাদিক, আইনজীবী, বিচারক এবং অন্যদের টেলিফোনে আড়িপাতা হয়েছে কিনা।’
পেগাসাস ইস্যুতে বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে হলফনামা তলব করেছে সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু সেই হলফনামা নিয়ে বারবার টালবাহানা করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। তার জেরেই সুপ্রিম কোর্ট উষ্মা প্রকাশ করেছে বারবার। তবে, হলফনামা এখনও দেয়নি কেন্দ্র।
 
 
 

 
 

 
 
 
 





























































































































