করোনা আতঙ্কের মাঝেই দোসর অজানা জ্বর। উত্তরবঙ্গে শিশু মৃত্যুর প্রকোপ দিনে দিনে বাড়ছে। এমনকি এই জ্বরের ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে কলকাতাতেও। গত কয়েক দিনে শহরের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালেও জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছ। শনিবার ফের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অজানা জ্বরে মৃত্যু হয়েছে আরও এক শিশুর।হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত শিশু কালিয়াচকের বাসিন্দা পাঁচমাসের নাজিমা খাতুন। সঙ্কটজনক অবস্থায় শিশু বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিল। এইনিয়ে মোট ৬টি শিশুর মৃত্যু হল।জ্বর, সর্দি নিয়ে এখনও মোট ১৮১ জন শিশু মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি রয়েছে। আজ সেখানকার পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাবেন স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষজ্ঞ টিম।
আরও পড়ুন:ফের হাসপাতালে ভর্তি করানো হলো ফুটবল সম্রাট পেলেকে
কী কারণে মালদহে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, সেবিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। আক্রান্ত শিশুদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আক্রান্ত শিশুদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, জলপাইগুড়িতেও শিশু মৃত্যু উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ি এলাকা এবং ময়নাগুড়ি ব্লকের দুই শিশুর মৃত্যু নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই জ্বর-সর্দিকাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও সর্দি নিয়ে ভর্তি হওয়া ওই তিন শিশুর মৃত্যুতে উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবকদের। চিকিৎসকেরা যদিও বলছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় এই জ্বর ছড়ায়। এক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বরের ক্ষেত্রে যা চিকিৎসা রয়েছে, সেই পদ্ধতিতেই শিশুদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিভাগের ওএসডি জানান, ‘‘আমরা ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলাম। বুধবার গভীর রাতে রিপোর্ট এসেছে। তিন জনের শরীরে ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাস, তিন জনের শরীরের আরএসভি ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতি বছর হয়, সেটাই হয়েছে। এর উপসর্গ দেখে চিকিৎসা হয়। শিশুদের সাবধানে রাখুন। অসুস্থ হলে আলাদা করে রাখুন। কারণ এই রোগ সংক্রমিত হতে পারে।’’ পাশাপাশি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের চোখরাঙানি থেকে নিজেদের বাঁচাতে একটি চিকিৎসকের দল তৈরি করেছে জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর।































































































































