করোনার তৃতীয় ঢেউ এখনো আসেনি । তবে আগাম সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। সাধারন মানুষকে সচেতন করতে এবার প্রশাসনের হাতিয়ার পথনাটক। জেলা প্রশাসনের কর্মীরা নিজেরাই পথনাটকে অভিনয় করেছেন৷ করোনা মোকাবিলায় পথে নেমে জেলা প্রশাসনের কর্মীরা সাধারন মানুষের অসচেতনতার যে বাস্তবতা দেখেছেন তা নিয়ে এই নাটকের সংলাপ লেখা হয়েছে। তাই তাদের সজাগ করতে মুখের কথা বা পুলিশের লাঠি নয় কিংবা জরিমানা নয় এবারে প্রশাসনের হাতিয়ার পথনাটক। কোচবিহার শহরে এর আগেও সচেতনতা মূলক কর্মসূচীর আয়োজন করেছিল সদর মহকুমা প্রশাসন। পথে নেমে কখনো মিষ্টি মুখে মাস্কহীন অবস্থায় ঘুরে বেড়ানোদের হাতে গোলাপ ফুল তুলে দেওয়া হয়েছে। আবার কখনো দেখা গেছে আর্থিক জরিমানা করে কড়া ভাবে পথে নামতে। তবে অসচেতনরা তাতে খুব বেশি গুরুত্ব দেন নি। বাধ্য হয়েই এবারে হাতিয়ার পথ নাটক৷ মহকুমা শাসক রাকিবুর রহমান বলেছেন দ্বিতীয় ধাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আসতেই ফের অসচেতনতা বাড়ছে সাধারন মানুষের মধ্যে। যার জেড়ে করোনার তৃতীয় ধাপ ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে। তাই সচেতন করতে পথনাটক করা হয়েছে৷ জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে কোচবিহার শহরের যেই এলাকা গুলিতে সাধারন মানুষের মধ্যে বেশি করোনা বিধি মানার ক্ষেত্রে খামখেয়ালি চোখে পড়েছে প্রশাসনের সেই এলাকা গুলিতে চলবে পথনাটক। দিনের ব্যাস্ততার সময় গুলিতে এই পথনাটক করা হবে৷ এদিন কোচবিহার শহরের ব্যাস্ততম দাসব্রাদার্স মোড় ও ভবানীগঞ্জ বাজারের রাস্তায় এই পথ নাটক হয়েছে৷ টোটোরিক্সায় মাইক বেধে চলছে পথ নাটক করে সচেতনতা৷ শহরের নাগরিক কিভাবে নিজে করোনা বিধি না মেনে প্রশাসনের সচেতনতাকে তাচ্ছিল্য করেন ও তার জেড়ে কিভাবে পরে অসুস্থ হয়ে করোনা আক্রান্ত হতে হয়ে প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে প্রাণ বাঁচে সেই বার্তা তুলে ধরা হয়েছে পথনাটকে৷ নাটকটি লিখেছেন কোচবিহারের ডেপুটি মেজিস্ট্রেট ত্রিদিব সর৷ তিনি বলেন পথে নেমে অনেক কায়দাতে সাধারন মানুষকে সজাগ করার চেষ্টা করেছেন তারা। করোনা সংক্রমন কমছে ভেবে অনেকে খামখেয়ালি করছেন এতেই তৃতীয় ঢেউ আসবে বলে আশঙ্কা তাদের। তাই তাদের সজাগ করতে নাটক লেখা হয়েছে। তাতে অভিনয় করেছেন প্রশাসনের কর্মীরাই। নাটকের নাম দেওয়া হয়েছে করোনা কিচ্ছু না। এই পথনাটক হুশ ফেরাবে অসচেতনদের। এটাই আশা প্রশাসনের।











































































































































