সামনেই দেশে উৎসব মরশুম। ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদি হামলার জন্য ঠিক এই সময়টাকেই বেছে নিয়েছিল জঙ্গিরা। পরিকল্পনা ছিল মুম্বই-দিল্লি সহ দেশের ৬ শহরে একসঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটানোর। কিন্তু দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সাঁড়াশি আক্রমণে জঙ্গিদের(terrorist) যাবতীয় ছক বানচাল যায়। মঙ্গলবার পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ৬ জঙ্গি। ধৃতদের মধ্যে দু’জন পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর এবং জইশের সদস্য বলে দাবি পুলিশের। এদিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুধু তাই নয় আরও জানা গিয়েছে এই সকল জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য টাকা ঢেলেছিল ডি কোম্পানি(d company)। দাউদ ইব্রাহিমের ভাই আনিস ইব্রাহিম(Anish Ibrahim)। এবং জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিতে সাহায্য করে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই(ISI)।
বুধবার দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নবরাত্রি ও দীপাবলিতে নাশকতা ছড়াতে ভারতে ঢুকেছিল এই ছয় জঙ্গি। তাদের টার্গেট ছিল রাজধানী দিল্লি, মুম্বই-সহ প্রয়াগরাজ, লখনউ, রায়বরেলি এবং প্রতাপগড়। ধৃতদের সঙ্গে যে পাকিস্তানের যোগ রয়েছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। জেরায় জঙ্গিরা স্বীকার করেছে দাউদের আনিস ইব্রাহিমের টাকায় তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা। প্রশিক্ষণ শিবিরে কমপক্ষে ১৪ থেকে ১৫ জন বাংলাভাষীও প্রশিক্ষণ নিয়েছে বলে দাবি দিল্লি পুলিশের।
আরও পড়ুন:ঠেলার নাম বাবাজি: দীর্ঘ ঘুমের পর বিজেপির হঠাৎ সক্রিয়তাকে কটাক্ষ কুণালের
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের তালিবান ক্ষমতা দখল করার পর শুরু থেকেই গোয়েন্দা বিভাগে তরফের সতর্ক করা হচ্ছিল দেশের মাটিতেই এবার সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ বাড়বে। প্রাথমিকভাবে তা জম্মু-কাশ্মীরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে অনুমান করা হলেও, সম্প্রতি দিল্লিতে এই ছয়জনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় এটা কার্যত স্পষ্ট যে শুধু উপত্যকা নয়, ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসের বীজ বপন করতে উঠে-পড়ে লেগেছে শত্রু শিবির।












































































































































