রবিবাসরীয় সকালে জনসংযোগে বেরিয়ে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। ভিক্টোরিয়ার সামনে থেকে শুরু করে চায়ের আড্ডায় গিয়েও প্রচার সারলেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞাপন কাণ্ডে সংবাদপত্রের ঘাড়ে দায় চাপালো যোগী সরকার
ভিক্টোরিয়ায় দাঁড়িয়ে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, ‘ওঁর ওজন বেশি, তাই হেভিওয়েট। সন্ত্রাসমুক্ত করতে আমি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছি।’ আর ভবানীপুরে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারেননি। সেখানে সন্ত্রাস হয়েছে। মেদিনীপুর–বারাকপুরের নেতারা যদি ভবানীপুরে রিগিং, কারচুপি, সন্ত্রাস করতে আসেন তাহলে মানুষ তাঁদের পা ভেঙে দেবেন।’
এর পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল আরও বলেন, ‘ভবানীপুরের প্রতিটা ওয়ার্ডে সব বুথে ভোট করতে দিতে হবে। শুধুমাত্র ফিরহাদ হাকিমের ওয়ার্ডে বেশি ভোট হয়। বাকি ওয়ার্ডগুলিতে ভোট দিতে দেওয়া হয় না। এটা চলতে দেওয়া যাবে না।
তৃণমূল বলছে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সেই নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, সে তো নন্দীগ্রামে বলেছিল। বুঝতে পেরেছেন কী হয়েছে। যদি এতো দম থাকে তাহলে সব মন্ত্রীদের পাড়ায় পাড়ায় ঘোরাচ্ছেন কেন বসে থাকুন লোক ভোট দিয়ে দেবে। আমরা লড়ব লোকের কাছে যাবো। ডিসিশন তো লোক দেবে।
প্রচারে কোনো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আসছেন কি না। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, বাই ইলেকশনে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আসে না। বাবুল সুপ্রিয়র নাম থাকা সত্বেও প্রচারে যাবেন না জানিয়েছেন তিনি। সেই নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, প্রচার তো শুরু হয়নি এখনও। পার্টিই ঠিক করেছে কাকে কাকে নামাবে। বাকিদের সমস্যা কী আছে সেটা কথাবার্তা বলা যাবে।
জাতীয় রাজনীতি নিয়ে তৃণমূল বলছে আপনাদের গুজরাটে যে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তন হয়েছে সেটা দলের অন্তর কলহ। সেই নিয়ে দিলীপ বলেন, “আমাদের দলে কী চলছে ওটা নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না। আজকে পার্টিটাকে বাঁচানোর জন্য পিছনের দরজা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হতে হচ্ছে। জোর করে বাই ইলেকশন করাতে হচ্ছে। লোককে লাইনে দাঁড় করাতে হচ্ছে কীসের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার পদত্যাগ করে দেখুন পার্টিটা থাকে কি না। অন্যের বাড়িতে তাকানোর আগে নিজের বাড়িতে ভালো করে তাকিয়ে দেখুন।
আরও পড়ুন: যোগীর উন্নয়নের বিজ্ঞাপনে কলকাতার ‘মা’ উড়ালপুল, তীব্র কটাক্ষ অভিষেকের
অন্যদিকে, রবিবার ভবানীপুরে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কেদার বোস লেন-সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচারে প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের সঙ্গে যান দিলীপ ঘোষ। রবিবাসরীয় প্রচারে মূলত প্রাতঃভ্রমণকারী এবং চায়ের ঠেকে বসে থাকা মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্য দিলীপ ও প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। তাঁদের সঙ্গে বসে চা, নিমকি খান। চায়ের কাপে রাজনৈতিক তরজার তুফান ওঠে। প্রচার পর্বে ভবানীপুরের ভোটারদের উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এমন মানুষের পাশে থাকুন, যাঁর দিকে কেউ আঙুল তুলতে পারবে না। যে লড়াইয়ে সামনে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দেবেন।” তিনি আরও জানান, কোনও নির্দিষ্ট জায়গা নয়, গোটা ভবানীপুর জয়ই বিজেপির লক্ষ্য। সেখানকার প্রতিটি বাড়িতে যাবেন তাঁরা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। পুরো শক্তি নিয়ে বিজেপি ভবানীপুরে ঝাঁপাবে। মানুষকে হতাশ করবে না।