দিন কয়েক আগেই মানিকতলায় অটোর ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় এক যুবকের দেহ। সেই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পুলিশের হস্তক্ষেপে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতে তল্লাশি চালিয়ে ভিকি, বান্টি-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে মানিকতলা থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে মারধর ও অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:ফের শিরোনামে যোগীরাজ্য, জাতীয় স্তরের খেলোয়ারকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে খুন
চোর সন্দেহে প্রায় সারারাত ধরে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে মারধর করা হয় অমরনাথ প্রসাদ ওরফে পাপ্পু নামে এক যুবককে। স্থানীয়রা জানায়, তাঁর পেটে ঘুসিও মারা হয়। করা হয় পদাঘাতও। যন্ত্রনায় তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। ভোরের দিকে তাঁকে অটোর মধ্যে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পরের দিন দেহটি মানিকতলার বাগমারি রোডের কাছে অটোর ভিতর থেকে উদ্ধার করেন পরিজন ও প্রতিবেশীরা। দেহের ময়নাতদন্তের পর মতামত জানাতে সময় নেন চিকিৎসক। শনিবার চিকিৎসকদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে যে, যুবকের দেহ আভ্যন্তরীণ আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেই আঘাতের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এওপরই তল্লাশি চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, যুবকটিকে এমনভাবে মারধর করা হয় যাতে বাইরে থেকে আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও, শরীরের কিছু অঙ্গপ্রত্যঙ্গে আঘাত লাগে। বাগমারি এলাকারই এক যুবকই এই ঘটনাটি নিয়ে মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওই এলাকার বাসিন্দা বান্টি, নিলু, ভিকি ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। তারই ভিত্তিতে মারধর ও অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করা হয়।
