দলের লক্ষ্য রেকর্ড ভোটে নেত্রীকে জেতানো। সেই লক্ষ্যে নেত্রীর মনোনয়ন ঘিরে উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই সব সদস্য সর্থকদের আবেগে ভেসে শুক্রবার ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুর দেড়টার পর কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সোজা চলে আসেন আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মনোনয়ন জমা করেন। মনোনয়ন পেশ করে মুখ্যমন্ত্রী আলিপুর থেকে বালিগঞ্জের মহারাষ্ট্র নিবাসে যান একটি গণেশ পুজোর উদ্বোধনে। মনোনয়ন জমার পর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ভবানীপুর কেন্দ্র নেত্রীর বাড়ির উঠোনের মতো। মানুষের আশীর্বাদ ঝরে পড়বে মুখ্যমন্ত্রীর উপর।
আরও পড়ুন- ‘পুরো মন্ত্রিসভাকেই প্রচারে নামিয়েছেন’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের, পাল্টা সুর চড়িয়ে তুলোধনা কুণালের
শুক্রবার সকাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর মনোনয়ন ঘিরে সদস্য, সমর্থক, নেতৃত্বের মধ্যে ছিল চাপা উত্তেজনা। সরকারি স্তরে প্রস্তুতি ছিল সারা। ঠিক দুপুর ১.৫৮ মিনিটে সার্ভে বিল্ডিংয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন সুব্রত বক্সি এবং চিফ ইলেকশন এজেন্ট বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন প্রযোজক নিসপাল সিং রানে এবং মন্ত্রী ববি হাকিমের স্ত্রী ইসমত হাকিম। সার্ভে বিল্ডংয়ের একের পর এক ঘর পেরিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল কর্মীদের অভিনন্দন, প্রণাম। ২টো ৩ মিনিটে প্রার্থিত কাগজ তৈরি হয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী অফিসারদের বলেন, আপনারা একটু দেখে নিন। আমি এগুলো আবার বুঝি না। পরিচয় করিয়ে দেন তাঁর প্রার্থী পদের দুই প্রস্তাবক নিসপাল ও ইসমতের সঙ্গে। পরে বাবলু সিংও আসেন। বাড়ি থেকে নিয়ে আসা নিজের কলমেই স্বাক্ষর করেন। ২টো ১৭ মিনিট নাগাদ সার্ভে বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী যখন মনোনয়ন পেশ করছেন, ঠিক তার মিনিট তিরিশেক আগে বিজেপি তিন কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। ভবানীপুরে প্রার্থী আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টেবরিওয়াল।