বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা:
অনলাইনে মিলছে পদ্মার ইলিশ। চাহিদা থাকায় বাংলাদেশের মৎস্য বিক্রেতারা অনলাইনে বিক্রি করছেন জলের এই রুপোলি ফসল। করোনাকালে ঘরে বসেই টাটকা মাছ কেনার দিকে ঝুঁকেছেন গ্রাহকরাও। আর সেই কারণেই ওপার বাংলার একাধিক সংস্থা অনলাইনেই ইলিশ মাছ বিক্রি করতে শুরু করেছেন।
পাঁচ মহিলার উদ্যোগে চাঁদপুরের বিখ্যাত ইলিশও এখন পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনে। ইলিশের মরশুম প্রায় শেষের দিকে। তবে ওপার বাংলার মৎস্যজীবীদের জালে এখনও ধরা পড়ছে ইলিশ। যদিও মনে কিছুটা আশঙ্কা নিয়েই অনলাইনে ইলিশ মাছ বিক্রি করতে শুরু করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। পরে হিসাব করতে গিয়ে দেখা যায়, অনলাইনে ব্যবসা শুরুর মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে তাঁরা বিক্রি করে ফেলেছেন প্রায় এক কোটি টাকার ইলিশ।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘লাইভ ফ্রম ইলিশের বাড়ি’ শীর্ষক একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে উইমেন ফর ই-কমার্স-এর বাংলাদেশের সভাপতি নাসিমা আখতার নিশা জানিয়েছেন, গত ১০ অগাস্ট থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত ওই ১৫ দিনে ৩৩ জন মিলে অনলাইনে ৮২ লাখ টাকার ইলিশ বিক্রি করেছেন। সংস্থা যত সংখ্যক মাছ বিক্রি করতে পারবে ভেবেছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি ইলিশের বিক্রি হয়েছে বলেই খবর। তাঁরা জানান, এখনও চাঁদপুর এলাকাতে টাটকা ইলিশের চাহিদা আছে। কিন্তু সেই চাহিদা অনুযায়ী যোগান নেই। সেই কারণেই নাকি অর্ডার করেও অনেকে ইলিশ পাচ্ছেন না। তবে বর্তমানে ইলিশের সঙ্গে মাছের ডিম এবং আচারও বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান নাসিমা আখতার।
উইমেন ফর ই-কমার্স-এর চাঁদপুর এলাকার সভাপতি জানিয়েছেন, ওই এলাকার পাঁচজন মহিলা এই প্রথম অনলাইনে ইলিশ বিক্রি করছেন। তাদের মধ্যে একজন বিক্রি করেছেন ১৫ লাখ টাকার ইলিশ। কী ভাবে অনলাইনে ইলিশ মাছ আরও বেশি করে বিক্রি করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয় এদিনের সভায়। ভার্চুয়াল মাধ্যমের ওই আলোচনায় অংশ নেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান সহ অন্যান্যরাও।
আরও পড়ুন-বাঁশদ্রোণীতে বাড়িতে ঢুকে শ্যুটআউট, এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে চাঁদপুরের মাছঘাটে প্রথম অনলাইন ইলিশ বিক্রি শুরু হয়েছিল। কিন্তু চাহিদা না থাকায় অনলাইনে ইলিশ বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইলিশের অনলাইন বাজার ফের চাঙ্গা হতে শুরু করেছে।


































































































































