ধনকড়কে ভবানীপুরে পদ্মপ্রার্থী করার ‘পরামর্শ’ কুণালের

0
2

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে ভবানীপুরে বিজেপি(BJP) প্রার্থী কে হবেন তা এখনো ঠিক করে উঠতে পারেনি গেরুয়া শিবির। যদিও ইতিমধ্যেই ভবানীপুরে অর্জুন সিংকে ভোট পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরের ‘মুশকিল আসান’ করতে বুধবার ‘পরামর্শ’ দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। জানালেন, হাতের কাছে প্রার্থী থাকলেও অযথা প্রার্থী খুঁজে বেড়াচ্ছে বিজেপি। ভবানীপুরে(Bhawanipur) বিজেপির প্রার্থী করা উচিত রাজভবনে বসে থাকা জগদীপ ধনকড়কে(Jagdeep Dhankar)।

বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে ভবানীপুরে বিজেপির ভোট পর্যবেক্ষক হিসেবে অর্জুন সিংয়ের নাম উঠতেই কুণাল ঘোষ বলেন, “যারা প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না তারা পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে। প্রার্থী তো বিজেপির হাতের কাছেই ছিল। রাজভবনে বসে থাকা জগদীপ ধনকড়। বিজেপির উচিত ছিল ওনাকে প্রার্থী করা। উনি সকালে ঘুম থেকে উঠে বিজেপিকে খুশি করতে একের পর এক টুইট করে বেড়ান। এবার ভোটের ময়দানে নেমে মানুষে রায়টাও জেনে নেওয়া উচিত ওনার। পর্যবেক্ষক অর্জুন সিং, প্রার্থী জগদীপ ধনকড়, ভোটের ফল জামানত জব্দ। এর চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে?”

পাশাপাশি এদিন ক্লাবগুলোকে আর্থিক অনুদান প্রসঙ্গে বিজেপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ বলেন, “এবার দুর্গা পুজো নিয়ে নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি। অবশ্য বিজেপির দেবী দুর্গাকে অপমান নতুন কথা নয়। ওনাদের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আগেই তা করেছেন। তবে আমরা বলে দিতে চাই এই অনুদান নতুন জিনিস নয়, আগে দেওয়া হয়েছে। সরকার আবার দিচ্ছে। কোনও সরকারি প্রজেক্ট তো ভোট বলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে না। দ্বিতীয়তঃ এই বিষয়টির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী করেননি করেছেন মুখ্য সচিব। এবং তৃতীয়তঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনো নমিনেশন ফাইল করেননি ফলে বিধি ভঙ্গের কোন প্রশ্নই ওঠে না।”

আরও পড়ুন:“নন্দীগ্রামে আমি ষড়যন্ত্রের বলি, কে করেছে সেটাও জানি”, ভবানীপুরে কর্মিসভা থেকে বিস্ফোরক মমতা

এছাড়া এ দিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নিতে ছাড়েননি কুণাল ঘোষ। তাঁর দিল্লি সফরকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “শুভেন্দু আত্মরক্ষার জন্য দিল্লির দরজায় দরজায় ঘুরছেন। যাতে সিবিআই- ইডি ওনার বাড়ির দরজায় না আসতে পারে। আর আমি তো শুনেছি শুভেন্দুকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ওকে বলা হয়েছে আর একজন বিধায়কের যদি দল ছেড়ে যায় তাহলে পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে শুভেন্দুকে।”

advt 19