পঞ্চায়েতের অনাস্থা ভোটে প্রভাব খাটাতে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে বিজেপির জগন্নাথ সরকার

0
3

নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুরের (Santipur) বেলগড়িয়ায় (Belgariya)গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রানাঘাটের (Ranaghat) বিজেপি (BJP).সাংসদ (MP).জগন্নাথ সরকার (Jagannath Sarkar)। তাঁকে ঘিরে ‘‘গো ব্যাক’’ স্লোগান তোলেন তৃণমূল (TMC) কর্মী-সমর্থকরা। নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় কোনওরকমে বেরিয়ে আসেন জগন্নাথ সরকার।

জানা গিয়েছে, শান্তিপুর বেলগড়িয়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অনাস্থা ভোট চলছিল আজ, বুধবার। তা ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল আঁটসাঁটো। মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স, RAF. শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছিল ভোটাভুটি।আর তখনই আচমকাই বেলগড়িয়ার পঞ্চায়েত অফিসে হাজির চলে আসেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি গাড়ি থেকে নেমে সোজা ভোট কেন্দ্রে চলে যান। তাতেই বাধা দেন তৃণমূল কর্মীরা। কীভাবে ভোটের বিধি ভেঙে, পুলিশের সামনে দিয়ে সাংসদ পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে পড়লেন, সেই প্রশ্ন তুলে জগন্নাথ সরকারকে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। ‘’গো ব্যাক’’ স্লোগান তোলেন।

আরও পড়ুন:ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত: ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে ভর্তির সুযোগ পাবেন মহিলারাও

শান্তিপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিমাইচন্দ্র বিশ্বাসের দাবি, ”আমরা সবাই ভোটকেন্দ্রের বাইরে নির্দিষ্ট দূরত্বে বসেছিলাম নিয়ম মেনে। বিজেপি সাংসদ নিজেই ভোটকেন্দ্রে ঢুকে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছেন। আমাদের বিরুদ্ধে অকারণে মারধরের অভিযোগ করা হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, বেলগড়িয়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৫ টি আসন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৬ টি করে আসন পেয়েছিল বিজেপি ও নির্দল। ৩টি আসন পায় তৃণমূল। পরে নির্দল সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দিলে তাদের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯। বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। এবার একুশের নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দেন। তার জেরে পঞ্চায়েতে বিজেপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭, তৃণমূলের ৮। তাতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে বিজেপি। আজ সেই অনাস্থা ভোট।

advt 19