ব্রাহ্মণ সমাজের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য, গ্রেফতার ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর বাবা

0
1

ব্রাহ্মণ সমাজের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে গ্রেফতার ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের বাবা নন্দ কুমার বাঘেল। তাঁকে রায়পুর পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

ব্রাহ্মণদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে নন্দ কুমার বাঘেলকে আজ গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং ১৫ দিনের হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তাঁর আইনজীবী বলেন, তিনি জামিনের আবেদন করেননি। ২১ সেপ্টেম্বর আবার আদালতে হাজিরা রয়েছে। তার বাবাকে এফআইআরে অভিযুক্ত করার পর, মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বলেছিলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

আরও পড়ুন-এবারও পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান, বিদ্যুৎ-বিলে ছাড়: মুখ্যসচিব

“আমার সরকারের কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এমনকি তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ৮৬ বছর বয়সী বাবা হলেও। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার। যদি তিনি কোন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন, আমি দুঃখিত। আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সাংবাদিক বৈঠকে বললেন ভূপেশ বাঘেল।

তিনি আরও বলেন, “আমার বাবার সঙ্গে আমার মতাদর্শগত পার্থক্য সম্পর্কে সবাই জানে। আমাদের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা এবং বিশ্বাস আলাদা। আমি তাকে তার পুত্র হিসেবে সম্মান করি, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি তাকে এমন ভুলের জন্য ক্ষমা করতে পারি না যা জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে।”

এরপর টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছে,”ছেলে হিসাবে, আমি আমার বাবাকে সম্মান করি। কিন্তু একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে, তার কোন ভুলকে উপেক্ষা করা যায় না যা জনশৃঙ্খলা ব্যাহত করে।”

নন্দ কুমার বাঘেল বলেছিলেন, “ব্রাহ্মণদের গঙ্গা নদী থেকে ভলগায় পাঠানো হবে। তারা বিদেশী। তারা আমাদের অস্পৃশ্য বলে মনে করে এবং আমাদের সমস্ত অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে। আমি গ্রামবাসীদের অনুরোধ করব ব্রাহ্মণদের তাদের গ্রামে ঢুকতে দেবেন না।”

এরপরই শনিবার রাতে নন্দ কুমার বাঘেলের সর্ব ব্রাহ্মণ সমাজ রায়পুরে একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগগুলির মধ্যে রয়েছে “গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতার প্রচার”।

আরও পড়ুন-রাজ্যে ভোট পরবর্তী অশান্তির তদন্ত কতদূর এগল? উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সিবিআই

ভূপেশ বাঘেলের বিড়ম্বনা নতুন কিছু নয়। কিছুদিন আগেই ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস নেতা টিকে সিং দেও দাবি করেন তাঁকে রোটেশন পদ্ধতিতে মুখ্যমন্ত্রী করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এরপরেই ভূপেশ বাঘেল সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থন দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রীত্ব চালিয়ে যাওয়ার দাবি করেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তাঁর দাবি মেনে নেওয়ায় এবারের মতো বেঁচে যায় তার পদ।

advt 19