একদিকে চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অন্যদিকে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে নিজেদের উদার ভাবমূর্তি তুলে ধরতে গিয়ে আফগানিস্তানে তালিবান সরকার গড়া ক্রমশই পিছোচ্ছে। পঞ্জশির এখনও তালিবানের কাছে সবচেয়ে বড় গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২৪ ঘন্টা আগে তালিবান দাবি করেছিল তারা পঞ্জশির জয় করেছে। কিন্তু বিরোধী জোটের দাবি, শনিবার রাতে তাদের হাতে কমপক্ষে ৭০০ তালিবানের মৃত্যু হয়েছে। আত্মসমর্পণ করেছে ৬০০-রও বেশি। বাকিরা পালিয়ে গিয়েছে। তালিবানের এক বিশেষ সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের রণকৌশলের কাছে তারা কার্যত হার মেনেছে। পঞ্জশিরে প্রবল বাধা পাওয়ার কারণে তালিবান সরকার গঠনও ইতিমধ্যেই দু’বার পিছিয়ে গিয়েছে। আমারুল্লা সালেহ অভিযোগ করেছেন, পঞ্জশিরে গণহত্যা চালানোর পরিকল্পনা করেছে তালিবান। পঞ্জশিরে আড়াই থেকে তিন লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। যাদের মধ্যে বহু মহিলা, শিশু ও প্রবীণ মানুষ রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তালিবান চারিদিক থেকে অবরোধ গড়ে তুলে গণহত্যার পরিকল্পনা করছে। আন্তর্জাতিক মহল যদি অবিলম্বে বিষয়টিতে গুরুত্ব না দেয় তবে মানবতাকে আরও এক কঠিন বিপদের মুখে পড়তে হবে। ওই চিঠিতে সালেহ আরও লিখেছেন আফগানিস্তানে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ তালিবানের জন্য ঘরছাড়া। অন্তত ২ কোটি মানুষের প্রাণ বিপন্ন হয়ে উঠেছে। অসহায় আফগান নাগরিকদের সাহায্যের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- কৃষক মহাপঞ্চায়েতে উত্তাল মুজফফরনগর, ২৭ শে ভারত বনধের ডাক
 
 
 

 
 

 
 
 
 
 



























































































































