চিকিৎসা সংশ্লিস্ট ৮০ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

0
1

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা:

চিকিৎসা সংশ্লিস্ট ৮০ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছেন বলেক জানালেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রাজধানীর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে (বালিকা) ‘বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কম্প্রিহেনসিভ বা লাইসেন্সিং পরীক্ষা ২০২১’ পরিদর্শন করে এই কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ৮০ শতাংশের বেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে ইতিমধ্যেই টিকার আওতায় আনা হয়েছে। টিকাপ্রাপ্তির ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে বাকিদেরও টিকা নিশ্চিত করা হবে।
দেশে নার্সের সংখ্যা তুলনামূলক কম জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী একজন চিকিৎসকের পরিবর্তে তিনজন নার্স দরকার। এদিক থেকে আমরা কিছুটা পিছিয়ে রয়েছি। সরকারিভাবে ও বেসরকারি মিলে বর্তমানে দেশে প্রায় ৭০ হাজার নার্স রয়েছে। নার্সের সংখ্যা আরও কম ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ নিয়ে এটি বাড়াতে বাড়াতে এখন চিকিৎসকের সমান করা হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষক যে কজন আছে, তার তিন গুণ নার্স করা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী নার্সের সংখ্যা বাড়ানো হবে।’

আরও পড়ুন- “গরু-ছাগল নয় যে জোর করে আটকে রাখব”, বিধায়কদের দলবদলে মন্তব্য দিলীপের

চিনের কাছে নতুন করে ৬ কোটি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে সাড়ে ১০ কোটি টিকা ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের জানুয়ারি নাগাদ এসব টিকা পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। এই সাড়ে ১৬ কোটি টিকা পেলে আগামী বছরের শুরুর দিকেই দেশের অধিকাংশ মানুষের জন্য টিকার সংকট কেটে যাবে। গণটিকা দান কর্মসূচিতে প্রথম ডোজ পাওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘টিকা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে যাঁদের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা দ্বিতীয় ডোজও সময়মতো পাবেন। প্রথম ডোজ যে কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছে, সেই কেন্দ্রেই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। গ্রামে বাস করা মানুষের মধ্যে আগে টিকা নেওয়ার আগ্রহ কম ছিল। আমরা তাঁদের অনুপ্রাণিত করতেই এই টিকা কার্যক্রমের কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলাম। সে ক্ষেত্রে আমরা গ্রামের মানুষের মনেও টিকার গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।’

 

advt 19