তৃণমূল কংগ্রেসের দরজা সবার জন্য খোলা।আমরা সবাইকে আবেদন করেছি, যাদের বিজেপি শাসনে দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে তারা আসুন। বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। আমরা কংগ্রেস এমনকি বাম কর্মীদেরও বলেছি, আপনাদের নেতারা যে দায়িত্ব নিচ্ছেন না আমাদের হাত বাড়ানো আছে আপনারা হাত ধরতে পারেন । সেই হাত তারা ধরবেন কিনা সেটা তাদের ব্যাপার । বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার মাটিতে সাংবাদিক বৈঠকে এভাবেই সরাসরি বাম-কংগ্রেস কে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ময়দানে নামার আহবান জানালেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে তেইশে ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটকেই পাখির চোখ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ ত্রিপুরায় বেশ কয়েকবার হামলার মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁদের ৷ হামলার শিকার হতে হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কেও (Abhishek Banerjee) ৷ লাঠির ঘা মারা হয়েছে তাঁর গাড়িতেও ৷ ব্রাত্যর অভিযোগ, হতাশা থেকেই এসব করছে বিজেপি ৷ একুশের ভোটে বাংলা দখল করতে চেয়েছিল তারা ৷ সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে বাংলার মানুষই ৷ আর তাতেই ক্ষেপে গিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি ৷
ব্রাত্যর বক্তব্য, আসলে বিজেপি বুঝে গিয়েছে, ত্রিপুরায় তাদের পায়ের তলার মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে ৷ তাই বারবার হামলা, আক্রমণের মতো ঘটনা ঘটছে ৷ কিন্তু এতে লাভ কিছুই হবে না ৷ বরং, তৃণমূলের পক্ষেই মানুষের সমর্থন বাড়বে ৷ ত্রিপুরায় বিজেপির নেতা, মন্ত্রী, বিধায়করাও সেটা বুঝে গিয়েছেন ৷ আর তাই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তাঁরা ৷
ব্রাত্য়র অভিযোগ, বিজেপি একেবারেই বিরোধিতা পছন্দ করে না ৷ সেই কারণেই বিরোধীদের ত্রিপুরায় কোনও কর্মসূচি করতে দেওয়া হয় না ৷ তৃণমূল সেখানে গেলে আক্রান্ত হয় ৷
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমূল বদলাচ্ছে শিলিগুড়ি, বাড়তি আকর্ষণ অত্যাধুনিক অতিথিশালা ও পার্ক
আজ সংবাদিক বৈঠকে সুস্মিতা দেব জানান, যা যা প্রতিশ্রুতি বিজেপি ত্রিপুরায় দিয়েছিল তার একটাও রাখতে পারিনি। তিনি জানান, আমরা ত্রিপুরা নিয়ে সিরিয়াস। ত্রিপুরায় সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে।
আগামী ১৫ দিন তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরার প্রত্যেকটি জেলায় সভা করবে । এই সভাগুলিতে বাংলার সিনিয়র নেতা নেত্রীরা, সাংসদরা থাকবেন বলে জানান তিনি। ত্রিপুরায় প্রত্যেকটি জেলায় গিয়ে মেম্বারশিপ করবে তৃণমূল কংগ্রেস।
আগামী দিনে ত্রিপুরার মানুষ সরকারের কাছ থেকে কি আশা রাখছে তা জানার চেষ্টা করবে তৃণমূল কংগ্রেস। কি কি তাদের সমস্যা রয়েছে তা আমরা জানবো। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে শক্তিশালী সরকার তৈরি করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এমন একটা সরকার যা জনগণের স্বার্থে কাজ করবে। মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে।
বাংলায় নানান রকম প্রকল্প জনসাধারণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ দেখতে গেলে মিনি ইন্ডিয়া। পশ্চিমবঙ্গে উত্তর প্রদেশ, বিহার , গুজরাটি ,নেপালের মানুষ রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুশাসনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে গেছে।


































































































































