কাগজে-কলমে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা ফিরে যেতে হাতে আরও এক দিন সময় আছে। কিন্তু এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে তালিবানের ধারাবাহিক জঙ্গিপনা নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইছে না মার্কিন সেনা৷ বরং তারা দেশে ফেরার বিমান ধরতেই ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে কার্যত গোটা আফগানিস্তান চলে গিয়েছে তালিবান জঙ্গিদের দখলে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তান, চিনের মতো হাতেগোনা দুই-একটি দেশ তালিবান সরকারকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে। কিন্তু তালিবান সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেমন হবে সে বিষয়ে নয়াদিল্লি এখনও মুখ খোলেনি।
এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন তালিবানের অন্যতম শীর্ষ নেতা শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিককজাই। রবিবার রাতে স্তানিককজাই বলেন, ভারতের সঙ্গে তাঁদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ আগের মতোই অব্যাহত থাকবে। ১৫ অগাস্ট কাবুল দখলের পর এই প্রথম কোনও শীর্ষ তালিবান নেতা প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে ভারতের সঙ্গে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করল। তালিবানের সোশ্যাল মিডিয়ায় ৪৬ মিনিটের এই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়।
ওই ভিডিও স্তানিককজাই বলেন, উপমহাদেশের ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান ও ক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা ভারতের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক চালিয়ে যেতে চাই। ভারতের সঙ্গে আবারও কাজ শুরু করার জন্য আমরা মুখিয়ে আছি। পূর্ববর্তী সরকারের মতোই আমরা ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে আগ্রহী। ভবিষ্যতে আমরা ভারতের সঙ্গে আকাশপথেও বাণিজ্য করিডর খোলা রাখব। আশা করি ভারত আমাদের সাহায্য করবে।
পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের যে বাণিজ্য চলে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন এই শীর্ষ তালিবান নেতা। তবে আগামী দিনে পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চলবে কি না সে বিষয়ে স্তানিকজাই স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তবে, নিজেদের ভূখণ্ড দিয়ে আফগানিস্তান থেকে ভারতে পণ্য পাঠানোর ছাড়পত্র দিয়েছে ইসলামাবাদ। কিন্তু ভারত থেকে পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে পণ্য আফগানিস্তানে পাঠানোর ছাড়পত্র দেয়নি পাক সরকার। স্তানিককজাইয়ের এই বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। একইসঙ্গে স্তানিককজাই এদিন তুর্কমেনিস্তান-আফগানিস্তান-পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে গ্যাস পাইপলাইন নিয়েও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, তালিবানরা সরকার গড়ার পরেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন- বিজেপি-র ইস্তাহার তৈরি করতেন বুদ্ধদেব গুহ! এ কী ফাঁস করলেন তথাগত
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 



























































































































