কৈশোরকে অ্যাডভেঞ্চারের রাস্তায় হাঁটিয়ে বন্য প্রেমে সাবালক করেছিলেন তিনি। তাঁর শেষযাত্রায় তাই রইল না কোনও ভেদাভেদ। শ্রদ্ধা জানালেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), ইন্দ্রনীল সেন (Indranil Sen), মীরা ভট্টাচার্য (Mira Bhattacharya), রমলা চক্রবর্তীরা (Ramola Chakraborty)। রাজনৈতিক মতাদর্শকে কখনোই কলমে প্রভাব ফেলতে দেননি বুদ্ধদেব গুহ। তাই শেষ যাত্রাতেও থাকলেন সবের ঊর্ধ্বে।

রবিরার রাত ১১টা ২৫ নাগাদ কলকাতা বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহর। কোভিডকে হার মানিয়েছিলেন কিন্তু পরবর্তী জটিলতাই কাল হল। অশীতিপর শরীর হার মানল মৃত্যুর কাছে। সোমবার সকালে প্রথমে বালিগঞ্জের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় প্রয়াত সাহিত্যিকের দেহ। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানান তাঁর অনুরাগীরা। গিয়েছিলেন সহকর্মীরাও। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের ফিরহাদ হাকিম, ইন্দ্রনীল সেন। গিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। চোখের জল বাঁধ মানেনি তাঁর। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রমলা চক্রবর্তীও। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ঋভু-ঋজুদার স্রষ্টার।

বুদ্ধদেব গুহর প্রাণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও। নিজের শোক বার্তায় তিনি লেখেন,
‘‘আমাদের একজন ভালোবাসার মানুষ চলে গেলেন। অনেকদিন ধরে আমাদের পরিবারের সঙ্গে ওঁর পরিচয়, যাওয়া আসা, কথাবার্তা। আধুনিক বাংলা কথাসাহিত্যে উনি একটা আলাদা ঘরানা তৈরি করেছিলেন। ওঁর সমস্ত লেখার ভাবনার কেন্দ্রে রেখেছিলেন প্রকৃতিকে। এরাজ্যের জঙ্গল এলাকা, গাছপালা, ফুলফল এইসব ওঁর লেখায় গভীরভাবে চিত্রিত। শেষের দিকে অসুস্থ অবস্থায় আর লিখতে পারছিলেন না। তারপরে নিজের মতো চলে গেলেন। আমরা পরিচিতজনেরা, ওঁর পাঠকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলাম।’’

চরৈবেতি মন্ত্র সব রং অশ্রুধারায় ধুয়ে চলে গেলেন বুদ্ধদেব গুহ।

আরও পড়ুন- ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে মঙ্গলবার কেন্দ্র-রাজ্য গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

































































































































