একদিকে যখন ত্রিপুরায়(Tripura) তৃণমূলের(TMC) রাজনৈতিক মাটি ক্রমশ শক্ত হচ্ছে, অন্যদিকে গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত হয়ে বেহাল অবস্থা বিজেপির। রবিবার ত্রিপুরায় দলীয় কর্মিসভায়(working committee) শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরালেন বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা সুদীপ রায় বর্মন(Sudip Roy Barman) সহ ৫ বিজেপি বিধায়ক। অভিযুক্তরা হয় দলের শীর্ষ নেতারা দলীয় কর্মীদের কথা শুনছেন না। এই ঘটনায় কার্যত প্রকাশ্যে চলে এলো বিজেপির অন্দরের ফাটল।
রবিবার দলীয় কর্মী সভায় অংশগ্রহণ করার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বলেন, “আমরা যে দলটা করি সেটাকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায় তার দুর্বলতম দিকগুলো চিহ্নিত করা যায় এবং তা নেতৃত্বে সামনে তুলে ধরে জনস্বার্থে পদক্ষেপ নেওয়া যায় তার জন্যই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এই বৈঠকে প্রতিটি বিধানসভা থেকে ৪-৫ জন করে নেতৃত্ব এসেছিলেন।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “এই কর্মীসভায় অনেকেই দলের প্রতি তাদের রাগ-ক্ষোভ তুলে ধরেছেন। শীর্ষ নেতৃত্ব দলের কর্মীদের কথা শুনছে না। এই অভিযোগ বারবার উঠেছে আমরা দলকে জানিয়েছি তবে বিশেষ ফল কিছু হয়নি। আশা করব দলের সমস্যাগুলি শীর্ষ নেতৃত্ব নিশ্চয়ই গুরুত্ব দিয়ে বিচার করবে।” পাশাপাশি, তৃণমূল যোগের বিষয়টি নিয়েও এদিন বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন সুদীপ রায় বর্মন। তিনি বলেন, “ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনই আমি কিছু বলবো না আমি এখন বর্তমানে আছি।” তবে তার কলকাতা যাওয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলতেই তিনি বলেন, সেদিন তিনি আগরতলায় ছিলেন কলকাতায় যাননি।
আরও পড়ুন:ত্রিপুরা: সুবল ভৌমিকের হাত ধরে বিভিন্ন দল থেকে তৃণমূলে যোগ দিলেন ৫৪ জন নেতা-কর্মী
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ত্রিপুরা দখল করেছিল গেরুয়া শিবির। তবে বাংলাভাষী এই রাজ্যে বিজেপি আধিপত্য বিস্তার করলেও প্রথম থেকেই তৈরি হয় দলের অন্তরে অসন্তোষের পরিবেশ। সময় যত গড়িয়েছে বিজেপিতে ফাটল ততই প্রকাশ্যে এসেছে। এর আগেও খোদ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন সুদীপ রায় বর্মণ। এই পরিস্থিতিতে সময় যত গড়াচ্ছে বিজেপির অন্দরে কর্মীদের ক্ষোভ ততো তীব্র হচ্ছে। প্রসঙ্গত এই দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সুদীপ রায় বর্মন,আশীষ সাহা,আশীষ দাস ,ডিসি রাঙ্খল,বুর্ব মোহন ত্রিপুরা সহ প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি রনজয় দেব।














































































































































