হরিয়ানার কার্নাল জেলায় কৃষকদের বিক্ষোভের উপর লাঠিচার্জের প্রতিবাদে আরও তীব্র হয়ে উঠল আন্দোলন। কৃষকদের উপর লাঠিচার্জের ভিডিয়ো কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। লাঠিচার্জের প্রতিবাদ জানিয়ে রাহুল গান্ধী টুইটে লেখেন, ‘‘আরও একবার কৃষকদের রক্ত ঝরল। লজ্জায় ভারতের মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে।’’ হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিংহ হুডা বলেন, ‘‘বর্বরোচিত আক্রমণ। বিজেপির সভাস্থল থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন চাষিরা। তাঁদের উপরে যে ভাবে আক্রমণ হল, তার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার।’’ কৃষকদের উপর লাঠিচার্জের নিন্দা করেছেন শীর্ষ কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। তাঁর কথায়, “আপনি হরিয়ানভিদের হৃদয়ে আঘাত করেছেন খট্টর সাহাব। কৃষকদের এই রক্ত বৃথা যাবে না। নতুন প্রজন্ম আপনাকে তার উত্তর দেবে।”অন্যদিকে রবিবার বিষয়টির তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার কার্নালের মহকুমা শাসক আয়ুষ সিনহা পুলিশদের লাঠিচার্জের নির্দেশের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। ভিডিয়োতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের কাছে একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই। যাঁরা নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করবেন, তিনি যে-ই হন না কেন, যেখানকারই হন না কেন, তাঁদের কোনও ভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে না।’ এর পরই হুঁশিয়ারির সুরে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘কোনও নির্দেশের অপেক্ষা করার দরকার নেই। এমন পরিস্থিতি এলে হাতে লাঠি তুলবেন এবং সজোরে আঘাত করবেন। যদি কোনও আন্দোলনকারী নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে বেরিয়েও আসেন, আমি যেন দেখতে পাই তাঁর মাথা রক্তাক্ত।’ ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার মুখে পড়ে হরিনায়া সরকার। এমনকি ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধীও। তিনি সেই ভিডিয়ো টুইটারে শেয়ার করে বলেন, ‘মনে হয় এই ভিডিয়োটি এডিট করে ছাড়া হয়েছে। তবে যদি সত্যিই এমন হয়ে থাকে, তা হলে ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে নাগরিকদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়।’

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 





























































































































