নিজের দলের জমি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত রবীন রাইকে কি বহিষ্কার করতে চলেছে সিপিএম? উত্তরবঙ্গে বাম রাজনীতির অন্দরমহলে এই প্রশ্নই এখন সবচেয়ে বড় হয়ে উঠেছে। কিছুদিন আগেই মাদারিহাটের সিপিএম কার্যালয়ে দলের তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হন এক সময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ বামনেতা রবীন। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে দীর্ঘ সওয়াল করেন রবীন। কিন্তু দলের জমি বিক্রির দুর্নীতির অভিযোগ খণ্ডনে নিজের পক্ষে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেননি তিনি, এমনটাই জানা গিয়েছে দলীয় সূত্রে। অনেকের কাছে সর্বদা নীতি-আদর্শের বুলি আওড়ানো রবীন যে এই ধরনের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়বেন, তা অভাবনীয়। যদিও তাঁকে বহিষ্কারের পথে হাঁটলে প্রকৃতপক্ষে দল আরও দুর্বল হবে বলে মানছেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু বামনেতা।
এর আগেও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কার বা অজন্তা বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করে দলের নেতৃত্ব সমালোচনার মুখেই পড়েছে। অভিযোগ, একাধিক নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করে দলের সংগঠনকে দুর্বলই করে ফেলেছে বামেরা। এমনিতেই তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির ধাক্কায় উত্তরবঙ্গে বামেরা এখন অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে, তার ওপর দলের নেতার দুর্নীতি এবং বহিষ্কার সেই সঙ্কটকে বাড়িয়ে তুলবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন- “এটা ত্রিপুরা না আফগানিস্তান?” আহত মুজিবরের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তোপ সুজাতা-জয়ার





























































































































