তৃণমূল ছাত্রদের উজ্জ্বলতায় আজ বড় ফ্যাকাসে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের অনুষ্ঠান

0
1

রাজ্যে কংগ্রেস কার্যত সাইনবোর্ড। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে আরও ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দলটি। বাম জমানায় যুব কংগ্রেসের ব্যানারে আন্দোলন ছিল একুশে জুলাই। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস গঠিত হওয়ার পর শহিদ দিবস সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘাসফুল শিবিরের। আর কংগ্রেস বিধান ভবনে “নৈব নৈব চ” করে শুধু মালা দিয়েই তাদের ২১ জুলাই কর্মসূচি শেষ করে। একইভাবে ২৮ অগাস্ট ছিল অবিভক্ত কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। যা বছরের পর বছর কলকাতার মহাজাতি সদনে পালিত হয়। কিন্তু এখন এই কর্মসূচিও সাড়ম্বড়ে পালন করে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন। প্ৰধান বক্তা থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক চান মমতা

যদিও খুব সংক্ষেপে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদের ৬৮ তম বছরের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করেছে। মূলত কলকাতা জেলা ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। যেখানে ছাত্র পরিষদের কিছু প্রাক্তনীকে সম্মানিত করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, এআইসিসি সম্পাদক বিপি সিং, শুভঙ্কর সরকার, অমিতাভ চক্রবর্তী, রোহন মিত্র-সহ কিছু নেতা। আজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের মূল গেটের সামনে আয়োজিত হয়। আর মহাজাতি সদনের অন্য একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। যা ছিল একেবারেই ম্যাড়ম্যাড়ে।

যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে প্রদেশ কংগ্রেস বর্তমানে জীবন জীবাশ্ম-এ পরিণত হয়েছে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ্য নেতৃত্বে দলের সমস্ত সাংগঠনিকস্তর অতি মজবুত। তৃণমূল নেত্রী সর্বদাই চেষ্টা করেন নতুন প্রজন্মকে তুলে ধরার, তাদের যোগ্য সম্মান দেওয়ার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ছাত্র রাজনীতি করা অনেক নেতাই আজ রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত। তাঁদের অনেকেই জন প্রতিনিধি, এমনকী মন্ত্রীও। অন্যদিকে, তৃণমূল গঠিত হওয়ার পর অবিভক্ত ছাত্র পরিষদের দাপুটে ও জনপ্রিয় নেতারা আজ প্রায় সকলেই তৃণমূলের ঘরে। সব মিলিয়ে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রদেশ কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের অনুষ্ঠান অনেক আগেই তাদের গৌরব হারিয়ে ফিকে হয়েছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ্য নেতৃত্বে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস এখন যেন রূপকথা মতো, যেন এক সোনালী অধ্যায়।
advt 19