ত্রিপুরায় ক্রমশ গরিষ্ঠতা হারানোর দিকে এগোচ্ছে বিজেপি!

0
1

এতদিন যা ছিল জল্পনা, এখন তা বাস্তবের দিকে যাচ্ছে। গত বাহাত্তর ঘণ্টার যা ঘটনাক্রম, তাতে যতজন বিজেপি বিধায়ক অন্যদিকে যোগাযোগ করেছেন, গোপন বৈঠক করেছেন, তাতে বিপ্লব দেবের সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর দিকে যাচ্ছে। এর মধ্যে দুই ধরনের বিধায়ক আছেন। এক, যাঁরা বিজেপিতে বিপ্লব দেবের উল্টো শিবিরের। দুই, যাঁরা হয়তো বিপ্লব দেবের সঙ্গেই, কিন্তু বুঝতে পারছেন এলাকার মানুষের যা মন, তাতে বিজেপিতে থাকলে জিততে পারবেন না। ফলে তাঁরা বা তাঁদের দূতরা একাধিক বৈঠক করেছেন। এই বৈঠক যেমন ত্রিপুরাতে হয়েছে, তেমনই হয়েছে কলকাতায়।

তবে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের যা নীতি, তাতে দলত্যাগ করিয়ে সরকার ফেলে নতুন সরকার গঠনে তারা রাজি নয়। মানুষের সমর্থন নিয়ে ভোটের মাধ্যমেই সরকার গড়বে তৃণমূল। কিন্তু বিজেপির ভাঙন শুরু হয়ে যাচ্ছে এখন থেকেই।

এদিকে, বিভিন্ন দল থেকে তৃণমূলে যোগদান অব্যাহত আছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ যোগ দিচ্ছেন। আগরতলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলায় এই যোগদান চলছে। তৃণমূলকেই মানুষ বিকল্প হিসেবে নিচ্ছেন। বাম, কংগ্রেস, এমনকী বিজেপি, সব শিবির থেকে সংগঠকরা আসছেন। কৈলাসহর এলাকার যোগদান দেখে তো বিজেপিতে কাঁপন ধরে গিয়েছে। ত্রিপুরার চাইবাসায় অন্যান্য দল থেকে আসা প্রায় পাঁচ হাজার রাজনৈতিক কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নেন। অনুষ্ঠান ঘিরে স্বতঃস্ফূর্ত উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, হামলা, মামলা ও হোটেল-সন্ত্রাস করেও তৃণমূল কংগ্রেসকে ঠেকানো যাচ্ছে না। ত্রিপুরার নেতাদের পাশে ধারাবাহিকভাবে দাঁড়াচ্ছেন বাংলার নেতারা। মলয় ঘটক, শান্তনু সেনরা যেভাবে মাটি কামড়ে পড়ে থেকেছেন, তাতে বিজেপি বুঝে গিয়েছে, এ বড় সহজ প্রতিপক্ষ নয়। তপন দত্তর মতো নেতাদের বাড়ি হামলা হলেও সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন কলকাতার নেতারা। বেশ কিছু এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচারও শুরু হয়েছে। লাগাতার মহল্লা বৈঠক চলছে।

আরও পড়ুন- বাইডেন-তালিবানের ডেডলাইন নিয়ে আতঙ্কে দেশ ছাড়ার হিড়িক, বিমানবন্দরে কাতারে কাতারে মানুষ

advt 19