দলের জমি বেচে দিলেন সিপিএম নেতা! মাদারিহাটের ঘটনা। অভিযোগ পেয়েই তড়িঘড়ি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সিপিএম। অভিযুক্ত সিপিএম নেতার নাম রবীন রাই। রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র দুই সদস্যের এই কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন।
যদিও এই জমি বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনায় সেভাবে মুখ খোলেনি সিপিএম। সিপিএমের রাজ্য কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে দুই সদস্যের ওই তদন্ত কমিটিতে রাখা হয়েছে শিলিগুড়ির জীবেশ সরকার এবং জলপাইগুড়ির সলিল আচার্যকে। জমি কেলেঙ্কারি এবং আর্থিক তছরুপের অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই কমিটিকে। যদিও অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি অভিযুক্ত রবীন রাই। জানা গিয়েছে, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের উপস্থিতিতে জেলা দফতরের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত রবীন রাই নিজেও। বৈঠকে রবীনবাবু তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনও সাফাই দেননি। রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য রবীন রাই বলেছেন, “আমি কোনও কথাই বলিনি। দলের বৈঠকের বিষয়ে আমি কিছুই বলব না।”
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদারিহাটে রেলের জমিতে সিপিএমের একটি পার্টি অফিস আছে। রেলের জমিতে থাকা পার্টি অফিস রেল যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে দিতে পারে। এই কথা মাথায় রেখে পার্টি অফিস তৈরির জন্য মাদারিহাটের কাঁঠালতলায় ও ধানহাটি এলাকায় সিপিএম দুটি জমি কেনে। জেলা সিপিএমের অভিযোগ, ধানহাটির জমিটিতে নতুন পার্টি অফিস তৈরির জন্য কিছুদিন আগে কাঁঠালতলায় কেনা ৩৩ শতক একটি জমি সিপিএমের নামে রবীন রাই ২৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেয়।
আরও পড়ুন- দেশ জ্বলছে! আমেরিকায় চরম বিলাসিতায় মত্ত আশরাফ ঘানির ছেলে-মেয়ে
এর পরই রবীনবাবুর বিরুদ্ধে দলের এই জমি বিক্রি এবং টাকা পয়সা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, সিপিএমএর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র দলকে জানিয়েছেন, দলের সম্পত্তি বিক্রির টাকা পয়সার গণ্ডগোল ও অনিয়ম একটা বড় বিষয়। তাই এই দুর্নীতির তদন্ত হওয়া আবশ্যক। তারপরেই সিপিএমএর রাজ্য কমিটি রবীনবাবুর বিরুদ্ধে এই দুনীর্তির তদন্ত করতে কমিশন গঠন করে সিপিএম। সূত্রের খবর, রবীনবাবুর বিরুদ্ধে এই অভিযোগের প্রথম পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের তদন্ত হবে। তদন্ত শেষ হলেই রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর দুই সদস্য, এই তদন্ত রিপোর্ট দলের রাজ্য কমিটির কাছে পাঠাবেন।

































































































































