আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ৩১ অগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সবাইকে সরিয়ে নেওয়ার কথা স্পষ্ট করে মঙ্গলবারই জানিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তালিবানও ৩১ অগস্টের ডেডলাইন পিছোচ্ছে না। যার নিট ফল , দেশ ছাড়ার মরিয়া চেষ্টায় কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় করছেন সাধারণ আফগানরা। উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে, কাবুল বিমানবন্দরে জড়ো হয়েছেন কাতারে কাতারে মানুষ। সবমিলিয়ে কাবুলের পরিস্থিতি এখন আরও স্পর্শকাতর।
আরও পড়ুন- বাইডেন-তালিবানের ডেডলাইন নিয়ে আতঙ্কে দেশ ছাড়ার হিড়িক, বিমানবন্দরে কাতারে কাতারে মানুষ
কিন্তু কেন এই কাবুল ছাড়ার হিড়িক? আসলে মঙ্গলবার তালিবান সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আফগানিস্তানের যারা নাগরিক তাদের দেশ ছাড়তে দেওয়া হবে না। তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, ৩১ অগস্টের ডেডলাইন পিছিয়ে দেওয়ার প্রশ্ন নেই। ওরা নিজেদের লোক সরিয়ে নিয়ে যাক। কিন্তু একজন আফগান নাগরিককেও আমরা দেশ ছাড়তে দেব না। আর তালিবানের এই গোঁ ধরার পরেই কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাজির হাজাক মানুষ আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। কিন্তু সত্যি কি তারা তালিবানি হুমকি এড়িয়ে দেশ ছাড়তে পারবেন ? নতুন করে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে।
জানা গিয়েছে,
বিমানবন্দরে ঢোকার সবকটি পথে গার্ড রেল বসিয়ে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করছে তালিবান। বিমানবন্দরে ঢোকার মূল গেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে, বিমানবন্দরের মধ্যে অপেক্ষা করার জন্য অস্থায়ী শামিয়ানা টাঙানো হয়েছে। অনেকে নিজেদের গাড়িতে বসে অপেক্ষা করছেন বিমানে ওঠার। কিন্তু তাদের এই মরিয়া চেষ্টাকে প্রতিহত করতে তালিবান বাহিনী প্রসক।
একদিকে করোনার ভয়, অন্যদিকে পূর্বের তালিবানরাজের অভিজ্ঞতা দেশছাড়ার হিড়িকের অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন দেখার সত্যিই যারা দেশান্তরিত হতে চাইছেন ,তাদের সেই মরিয়া চেষ্টা কতটা সফল হয়।


































































































































