বদলি রুখতে মঙ্গলবার বিকাশভবনের সামনে বিক্ষোভ আন্দোলনের নামে যা হয়েছে তা ষড়যন্ত্র নাকি পূর্ব পরিকল্পিত, সে প্রশ্ন কিন্তু ইতিমধ্যেই উঠেছে । প্রকাশ্যে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন পাঁচ শিক্ষিকা। তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
বুধবার ফেসবুকে মন্ত্রী তুলে ধরলেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য রাজ্য সরকার কী কী করেছে। বিজেপির ক্যাডার বলে বিঁধলেন আন্দোলনকারীদের।
অনভিপ্রেত এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য কী করেছেন, তা খতিয়ান তুলে শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, “এত দাবি পূরণের পরেও যারা আন্দোলন করছেন, তারা শিক্ষক শিক্ষিকা নন, বিজেপি ক্যাডার।”অন্যদিকে এই ঘটনার মুখ খুলেছেন তৃণমুলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষও।
আরও পড়ুন –সমালোচনার আগে তথ্য জানুক বিরোধীরা: তৃণমূল আমলে শিক্ষকদের পরিস্থিতি তুলে জবাব কুণালের
ফেসবুকে শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন,
বাম সরকারের আমলে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীনে SSK এবং MSK-র সহায়ক/সহায়িকা, সম্প্রসারক/সম্প্রসারিকারা নামমাত্র সাম্মানিকের বিনিময়ে কাজ করতেন। কাজের নিশ্চয়তা, আর্থিক নিরাপত্তা এবং অবসরকালীন সুযোগসুবিধা বলে কিছু ছিল না। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার ১ ডিসেম্বর, ২০২০ থেকে SSK এবং MSK-গুলিকে বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের অধীনে এনে একটি সুসংবদ্ধ রূপ দেয়।
সহায়ক সহায়িকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে মাসিক ১০,৩৪০ টাকা এবং সম্প্রসারক/সম্প্রসারিকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে ১৩,৩৯০ টাকা করা হয়। এ ছাড়াও বাৎসরিক ৩% বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট চালু করা হয়েছে।
প্রত্যেককে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে।
যাঁরা ৬০ বছর বয়েসে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, তাঁদের অবসরের সময়ে প্রত্যেকের জন্য ৩ লাখ টাকা এককালীন অবসর-ভাতা চালু করা হয়েছে। বাকিদের জন্যও এই সুবিধা দানের বিষয়ে অর্থ দফতরের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
৬০ বছর বয়েসে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত যাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের জন্য ১/২/২১ থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করা হয়েছে।
মহিলাদের জন্য সরকারি নিয়মানুযায়ী মাতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ছাড়াও প্রত্যেককের জন্য চিকিৎসা সংক্রান্ত সহ বাৎসরিক ১৮ দিন ক্যাজুয়াল লিভ বা ছুটির অধিকার দেওয়া হয়েছে। তারপরেও যারা আন্দোলন করছেন, তারা শিক্ষক শিক্ষিকা নন, বিজেপি ক্যাডার।


































































































































