দুয়ারে সরকারের সাফল্যে খুশি রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে দুয়ারে সরকারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য ভিড় চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। করোনার সংক্রমণ আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। শিবির আরও সুষ্ঠু করতে রাজ্যের সব জেলায় একজন করে সিনিয়র আইএএসকে (Ias) নোডাল অফিসার (Nodal Officer) হিসেবে নিয়োগ করল নবান্ন। জেলায় গিয়ে শিবির পরিদর্শন করে সেই নোডাল অফিসাররা মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট দেবেন। রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্রের খবর, শুরুর দিন থেকে এ পর্যন্ত দুয়ারে শিবিরে ৭৮ লক্ষ মানুষ আবেদন করেছে। তার মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ। সবচেয়ে বেশি ফর্ম জমা পড়ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। শিবিরে যাতে ভিড় কম হয় সে-কারণেই বুথে বুথে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম দেওয়ার জন্য ক্যাম্প করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের ফর্ম পূরণ করতে যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য হেল্প ডেস্ক (Helpdesk) করতেও বলা হয়েছে৷
১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই শিবির চলবে৷ দুয়ারে সরকার শিবির নির্বিঘ্ন করতে কে কে হলেন নোডাল অফিসার?
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পৃথা সরকার
উত্তর ২৪ পরগনায় ওঙ্কার সিং মীনা
হাওড়ায় সঞ্জয় থাড়ে
হুগলিতে মনোজ আগরওয়াল
আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি
কোচবিহারে সুব্রত গুপ্ত
দার্জিলিং-কালিম্পং সুরেন্দ্র গুপ্তা
মুর্শিদাবাদে অনুপ আগরওয়াল
বীরভূমে মণীশ জৈন
পশ্চিম বর্ধমানে বিজয় ভারতী
পূর্ব বর্ধমানে হৃদেশ মোহন ঝাড়গ্রামে রোশনি সেন
নদিয়ায় সুরেশ কুমার
পূর্ব মেদিনীপুরে বরুণ রায়
পশ্চিম মেদিনীপুরে এম ভি রাও
বাঁকুড়ায় প্রভাত মিশ্র
পুরুলিয়ায় এ সুব্বাইয়া
দক্ষিণ দিনাজপুরে রবি ইন্দর সিং
মালদায় গুলাম আনসারি
উত্তর দিনাজপুরে অভিনব চন্দ্রা
প্রতিদিনই নবান্ন থেকে দুয়ারে সরকার শিবিরের গতিপ্রকৃতির উপর নজরদারি করা হয়। একজন আইএএস অফিসারের জন্য বিশেষ দায়িত্বে রয়েছেন। কন্ট্রোল রুমে কোনও অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- বিজেপির যুব মোর্চার জাতীয় কর্মসমিতিতে বাংলা বঞ্চিত, ক্ষোভ