চুক্তিজট অব্যাহত। একের পর এক বৈঠক, সভার পর সভা–তবু সমাধানসূত্র অধরা। শুক্রবার মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে ক্লাব কর্তাদের বৈঠকের পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও জট কাটলো না। এই অবস্থায় লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের পক্ষ থেকে আরও একবার জানিয়ে দেওয়া হল, আগামী চার-পাঁচ দিনের বেশি তারা অপেক্ষা করবে না। এর মধ্যে ক্লাব কর্তারা সংশোধিত চুক্তিপত্রে সই না করলে বিচ্ছেদের পথে হাঁটবে তারা।
আরও পড়ুন-২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে আরও অনেক ভালো খেলা হবে, বললেন সায়নী
লগ্নিকারী সংস্থার কর্ণধার হরিমোহন বাঙ্গুর ফোনে জানান, “আমাদের দ্রুত একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত সময় এফএসডিএল আমাদের দিয়েছে। এই সময়ের আগেই আমাদের যা করার করতে হবে। ওরা যদি চুক্তিপত্রে সই না করে, তাহলে আমাদের সঙ্গে ক্লাবের সম্পর্ক শেষ। স্পোর্টিং রাইটস ফিরিয়ে দেব ক্লাবকে। চার-পাঁচ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব আমরা”। কিন্তু স্পোর্টিং রাইটস বা ক্রিড়া স্বত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে কি ক্ষতিপূরণ চাইবেন ক্লাবের কাছ থেকে? টার্ম শিটের শর্ত অনুযায়ী লগ্নিকারীর বিনিয়োগ করা অর্থ ক্লাব মিটিয়ে দিলে তবেই তো বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। এই প্রশ্নের উত্তরে বিরক্ত শ্রী সিমেন্ট কর্ণধার বললেন, ‘‘চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সেটাই হওয়া উচিত। আমরা তো চাই ওরা চুক্তিতে সই না করে বিচ্ছেদ চাইলে প্রথম বছরে আমাদের বিনিয়োগ করা অর্থ মিটিয়ে দিক। কিন্তু যে ব্যবহার ওরা করছে, তাতে হয়তো আমরা ৬০ কোটি টাকা ক্ষতি হিসাবে দেখেই বিনা শর্তে ক্লাবকে স্পোর্টিং রাইটস ফিরিয়ে দিতে পারি। এই ব্যাপারে আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেব’’।
আরও পড়ুন-‘শরণার্থীর বেশে সন্ত্রাসবাদী চাই না’, আফগানিস্তান ইস্যুতে বার্তা পুতিনের
প্রসঙ্গত, ৩১ অগাস্ট ফিফা ট্রান্সফার উইন্ডো বন্ধ হচ্ছে। ক্লাব কর্তারা আরও দেরিতে সই করলে লড়াই করার মতো দলই গড়তে পারবে না লগ্নিকারী সংস্থা। ফ্রি-ফুটবলার ছাড়া কাউকে সই করাতে পারবে না। তার উপর কোয়েস জমানায় ফুটবলারদের বকেয়া ইস্যুতে ট্রান্সফার ব্যানও তুলতে হবে। এই অবস্থায় লগ্নিকারীর মনোভাব নিঃসন্দেহে আরও চাপে ফেলে দিল ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের। তবে কর্তারা এখনও আশায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু একটা করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপের আশায় ক্লাব।














































































































































