কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৭২ -এর বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ার পর এবার গণসংগঠন ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত সিপিএমের। প্রথমেই যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর বয়সসীমা ৪০ থেকে ৩৮ করার ভাবনা জোরদার হচ্ছে। সিদ্ধান্ত হবে যুব সম্মেলনে। ছাত্র ফ্রন্ট এসএফআইতেও পড়ুয়া ছাড়া অন্যদের জায়গা দেওয়া হবে না৷ এমনই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে দল।
পশ্চিমবঙ্গে জমি হারাতে হারাতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সিপিএমের। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হয়েছে দলকে। যার ফলে বিধানসভা এবং লোকসভায় একজনও সদস্য নেই এই প্রথম। সে কথা মাথায় রেখে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সিপিএম।
১. গণসংগঠনগুলির উপর নজরদারি থাকলেও অযাচিত নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করা হবে।
২. রেড ভলান্টিয়াররা কোভিডে ভাল কাজ করেছেন। কিন্তু তাদের সিপিএম বানাতে গিয়ে বিপত্তি হয়েছে। অনেকেই সরে গিয়েছেন। এই ভুল শোধরাতে চাইছে দল।
৩. সংগঠনে যারা নিষ্ক্রিয় তাদের বাদ দেওয়া হবে। প্রায় ৬০% নিষ্ক্রিয়দের বাদ দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
৪. সংগঠনে নতুন মুখ আনা হবে। সিপিএম সূত্রে খবর প্রায় ৫০-৬০% নতুন মুখ আনার চেষ্টা হচ্ছে।
৫. পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি রয়েছে এমন মুখকেই সামনে আনা হবে।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দলের মধ্যে তারুণ্যকে স্বাগত জানানো দলের মূলমূন্ত্র। দল পরিস্থিতি ও সম্ভাবনা বিচার করে সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, প্রত্যেকবারই সিপিএম এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেও শেষ পর্যন্ত আলিমুদ্দিনই গণসংগঠনগুলিতে তথাকথিত শৃঙখলার শিকল পরিয়ে রাখে। সেখান থেকে মুক্ত হওয়া আদৌ কী সম্ভব? সিপিএমের বোধোদয় বড্ড দেরিতে হয়, বলছেন তাঁরাই।
