ত্রিপুরা: খাবার স্বাধীনতা, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, প্রতিহিংসার রাজনীতি! স্বৈরাচারী শাসককে তোপ সায়নীর

0
3

ত্রিপুরায় ”প্রতিহিংসার রাজনীতি” রাজনীতি অব্যাহত। শাসক বিজেপির চক্ষুশূল বিরোধীরা। বিশেষ করে তৃণমূল। রাজনৈতিক কর্মসূচিরতে গিয়ে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় যে হোটেলে উঠে ছিলেন তৃণমূল যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ, সেখানেও উৎপাত বিজেপির।

নেতা-নেত্রী, সমস্যা পড়েছেন সেই হোটেল কর্তৃপক্ষ। এ রাজ্যের শাসকদলের দাবি, GST না দেওয়ার অভিযোগে হোটেলে হানা দিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এমনকী, আগামিদিনে দলের নেতা-নেত্রীদের থাকতে না দেওয়ার জন্য হোটেল মালিককে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে!

তাঁর সুস্পষ্ট অভিযোগ, “হোটেল কর্তৃপক্ষকে উপর থেকে এমনই লজ্জাজনক চাপ দেওয়া হচ্ছে যে, কোনও আলোচনার জন্য ৪-৫ মিলে একসঙ্গে বসতেও পারছি না! খেতে গেলেও আটকে দিচ্ছেন তাঁরা। খাবারে অর্ডার দেওয়া হলে জোর করে পুরোটাই বাতিল করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে আড়াই ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়।”

আরও পড়ুন- সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাঝেই অসুস্থ নীরজ চোপড়া, ভর্তি হাসপাতালে

কিন্তু কেন? রাখঢাক না করে সায়নী জানিয়েছেন, ”আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষকে কোনও দোষ দিচ্ছি না। বিজেপির তরফে তাদের অফিসিয়াল মেল করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তৃণমূল যেন ত্রিপুরায় কোনও সংগঠন গড়ে তুলতে না পারে!” এমনকী, হোটেলের নির্মাণ নিয়েও অভিযোগ তুলেছে আগরতলা পুরসভা!

এখানেই শেষ নয়। গণতন্ত্রের প্রশ্নে গর্জে উঠলেন তৃণমূলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ। মঙ্গলবার একটি বিবৃতি পেশ করে সায়নী জানান, “ত্রিপুরায় এসে বিজেপির গণতন্ত্রের যে বহর দেখলাম তাকে স্বৈরাচার বললে স্বেচ্ছাচারীর অপমান করা হয়! আমরা ত্রিপুরায় যে ‘স্বনামধন্য’ হোটেলে রয়েছি সেখানে বেশ কয়েকদিন ধরে স্বৈরাচারকে তুঙ্গে তুলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি নামে এই দলটি! হোটেল কর্তৃপক্ষকে উপর থেকে এমনই লজ্জাজনক চাপ তারা দিচ্ছে যে সেখানে কোনওরকম আলোচনার জন্য ৪-৫ জন মিলে আমরা বসতেও পারছি না।”

আরও পড়ুন- অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি কাটিয়ে ফের খুলল বাগড়ি মার্কেট, খুশি বিক্রেতারা

সায়নী ঘোষ আরও বলেন, “ভারতীয় সংবিধানে যে বাক স্বাধীনতা নামক বিষয়ের আলাদা করে উল্লেখ রয়েছে বিজেপির হয়তো সেটা কখনই বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি। ভারতবর্ষের যে কোনও জায়গা থেকে যে কোনও মানুষ স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক চর্চা করতে পারেন, গণতন্ত্রের গলা টিপে বিজেপি যে স্বৈরাচার ত্রিপুরাতে চালাচ্ছে সেটা তাদের এই লজ্জাজনক ব্যবহার মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে নিশ্চিত! আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষকে কোনো রকম দোষ দিচ্ছি না, বিজেপির তরফ থেকে তাদের অফিসিয়াল মেইল করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূল যাতে কোনওরকম সংগঠন ত্রিপুরায় গড়ে তুলতে না পারে।”

তাঁর কথায়, “ভারতীয় সংবিধানে যে বাক স্বাধীনতা নামক বিষয়ের আলাদা করে উল্লেখ রয়েছে বিজেপির হয়তো সেটা কখনই বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি। ভারতবর্ষের যে কোনও জায়গা থেকে যে কোনও মানুষ স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক চর্চা করতে পারেন, গণতন্ত্রের গলা টিপে বিজেপি যে স্বৈরাচার ত্রিপুরাতে চালাচ্ছে সেটা তাদের এই লজ্জাজনক ব্যবহার মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে নিশ্চিত! আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষকে কোনো রকম দোষ দিচ্ছি না, বিজেপির তরফ থেকে তাদের অফিসিয়াল মেইল করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূল যাতে কোনওরকম সংগঠন ত্রিপুরায় গড়ে তুলতে না পারে।”

আরও পড়ুন- Afghanistan-Taliban Crisis: আফগানিস্তানের হিন্দু ও শিখ নাগরিকদের ভারতে আশ্রয় দেওয়া হবে, জানালেন মোদি

সায়নীর দাবি, “ফোন করে, অফিসিয়াল ই-মেইল করে রীতিমত হুমকি দেওয়া হচ্ছে আমাদের কোণঠাসা করে দেওয়ার জন্য। এই ধরনের নিষ্ঠুরতা যে গণতন্ত্রের লজ্জাজনক খুন সেটা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। আমাদের সমস্ত কথা শোনার জন্য হোটেলে সকলে রীতিমতন তৎপর, কোনওরকম ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতার তোয়াক্কা না করে এই ভাবেই নিজেদের মত করে ত্রিপুরায় স্বৈরাচার বজায় রাখতে চাইছে বিজেপি। যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করত তবে আজ এই নোংরামি তাদের করতে হতো না! ধিক্কার জানাই তাদের এই আচরণে, লজ্জা আমাদের মানুষ হিসেবে যে ভারতের মত গণতান্ত্রিক দেশে এইরকম স্বৈরাচার আমাদের এখনও দেখতে হয়! ছিঃ বিজেপি! ধিক্কার তোমার রাজনীতির নাম করে নোংরামিকে… ধিক্কার তোমাদের মানবিকতায়। মানুষের স্বার্থে যদি আজ সত্যি কাজ করতেন আপনারা তবে এই ভাবে ত্রিপুরার মানুষের রেস্তোরাঁর ব্যবসা, গাড়ির ব্যবসাকে ছোট হতে দিতেন না। নিজেদের সংশোধনের দিন তোমাদের শেষ, এবার কাউন্ডাউন শুরু করে দাও ত্রিপুরা থেকে বিদায় হবার।” advt 19