পুরনো কয়েন সংগ্রহ করার নেশা ছিল সোনারপুরের যুবক আকাশ সর্দার ওরফে পঙ্কজের। আর সেই নেশাই তাকে ঠেলে দিল মহা বিপদের দিকে। ওই কয়েনের লোভেই তাকে অপহরণ করল অন্য দুই কয়েন সংগ্রহকারী। তবে শেষ রক্ষা হল না।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনারপুরের বাসিন্দা অপহৃত যুবকের নাম পঙ্কজ সর্দার। তাঁর কাছে ১৮৩০ সালের একটি রৌপ্য মুদ্রা আছে বলে জানতে পারে মোমিনপুর এলাকার বাসিন্দা শীতল আগারওয়াল ও শাহনওয়াজ মোল্লা।
অপহরণকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত ওই যুবককেও। তথাকথিত অ্যান্টিক কয়েনকে ঘিরে হওয়া এই অপহরণের ঘটনায় ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ শহরতলীর সোনারপুরে।
জেরায় ধৃত শীতল পুলিশকে জানিয়েছে, পঙ্কজের কাছে যে মুদ্রাটি রয়েছে, তার বাজার মূল্য ৫০ কোটি টাকা! পুলিশি জেরায় ধৃতেরা আরও জানিয়েছে, তারা জানতে পারে ওই যুবকের কাছে বহুমূল্য মুদ্রাটি রয়েছে। সেটি হাতানোর উদ্দেশ্যে প্রথমে তারা পঙ্কজের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। প্রথমে পঙ্কজ ওই মুদ্রা শীতলদের বিক্রি করবে বলে জানিয়েছিল।  কুড়ি হাজার টাকাও নেয় সে। সেই কারণে পঙ্কজের খাওয়া-দাওয়ার পিছনে বিপুল টাকা খরচও করে অভিযুক্তরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই মুদ্রাটির শীতলদের দিতে অস্বীকার করে পঙ্কজ। তখনই তাঁকে অপহরণের ছক কষে শীতল ও শাহনওয়াজরা। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গত তিনদিন আগে পঙ্কজকে অপহরণ করে বাঁশদ্রোণীর একটি ফ্ল্যাটে আটকে রাখে অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন- মাতঙ্গিনী অসমের! লালকেল্লায় মোদির ভাষণ নিয়ে বিতর্ক, ‘পাগল নাকি?’ তোপ কুণালের
বুধবার দুপুরে সোনারপুর থানায় গিয়ে ছেলের অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন পঙ্কজের পরিবার। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে সোনারপুর থানার পুলিশ। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে সূর্যসেন মেট্রো স্টেশনের সামনে হাজির হন পঙ্কজের পরিবারের সদস্যরা। অবশ্য তার আগেই সাদা পোশাকের পুলিশ স্টেশন চত্বর ঘিরে ফেলে। মুক্তিপণের টাকা নিতে এলে প্রথমেই ঘটনাস্থল থেকে শীতল ও নান্টু ভট্টাচার্য নামে আরেক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে সূর্যসেন স্টেশনের কাছেই একটি ইনোভা গাড়ির মধ্যে থেকে পঙ্কজকে উদ্ধার করে পুলিশ।
 
 
 
 

 
 

 
 
 
 
 



























































































































