শুভেন্দুর কথায় নেচে মুখ্যমন্ত্রীকে “খেলা হবে দিবস” বাতিলের আর্জি রাজ্যপালের

0
3

১৬ আগস্ট “খেলা হবে দিবস” (Khela Hobe Divas) পালন করবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ঘোষণার পর থেকেই গোটা রাজ্য জুড়ে এমন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে নবান্নে (Nabanna) তরফে। আর এতেই শুরু চোখে ঘোর আপত্তি বিরোধী বিজেপির। প্রথমে সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta) , তারপর শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary), ১৬ আগস্ট যাতে “খেলা হবে দিবস” পালন করা না হয়, তা নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছেন। তাঁদের দাবি, “গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং”-এর কালো অধ্যায়কে মনে করিয়ে দেয় ওই দিন। সেই দিনকেই ”খেলা হবে দিবস” ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এটা হতে দেওয়া যায় না বলে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির।

এবার ”খেলা হবে দিসব”-এর দিন পরিবর্তনের আর্জি জানালেন রাজ্যপাল (Governor) জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar)। আজ, বুধবার ভোরে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যপাল টুইট করে এমনই দাবি জানালেন। এদিন ভোর ভোর টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, “খেলা হবে দিবসের দিন বদল করা হোক। ১৯৪৬-এর দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংস হয়েছিল। ওই একই দিনে খেলা হবে দিবস পালিত হলে তা গণহত্যাকে স্মরণ করাবে। দিনটি মহম্মদ আলি জিন্নার ডায়রেক্ট অ্যাকশন দে-র কথাও মনে করাবে। এমনটাই মনে করেন সনাতন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।”

কিন্তু হঠাৎ “খেলা হবে দিবস” নিয়ে রাজ্যপালের এমন বিরোধিতার কারণ কী?

আসলে, গতকাল মঙ্গলবার এই ”খেলা হবে দিবস”-এর বিরোধিতা করে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপর দিনই হঠাৎ ”খেলা হবে দিবস” বদলের আর্জি জানালেন রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় অভিষেক সহ ৬ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে FIR, ‘ভয় পেয়েছে বিজেপি’ পাল্টা কুণাল 

যা নিয়ে তৃণমূলের তরফে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আগেই নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ছবি পোস্ট করেন কুণাল ঘোষ। ছবিটি ১৬ অগাস্ট ২০১৪-র। ছবিতে দেখা যাচ্ছে ‘খেলার জন্য হাঁটুন’ এই ব্যানার নিয়ে মিছিল করেছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। নেতৃত্ব দেন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা।

সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে। সপরিবারে বিভিন্ন পদ অলংকৃত করে আছেন। সেই বিষয়টিকে পরোক্ষে তীব্র কটাক্ষ করে পোস্টে শুভেন্দু অধিকারীকে ট্যাগ করে কুণাল লেখেন, “আসলে শুভেন্দু জানেন না দলের ইতিহাস, না আছে ময়দানের সঙ্গে সম্পর্ক। ‘খেলা হবে’ দিবসের বিরোধিতা করার আগে কৃশানু মিত্রের মত পুরনো বিজেপি সৈনিকের কাছ থেকে বাস্তব জানুন। শুধু হুক্কাহুয়া চলে না”।

advt 19