সন্তানের নাম কী হবে তা স্থির করার সম্পূর্ণ অধিকার বাবা-মায়ের । কিন্তু প্রথম সন্তানের নাম প্রকাশ্যে আনার পর যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় রে রে রব উঠেছিল তাতে বেজায় চটেছিলেন সইফ আলি খান (Saif ali khan) এবং করিনা কাপুর খান (Kareena kapoor khan) । তাদের সন্তানের নাম নিয়ে নেটনাগরিকদের এত কী বলার আছে তাতে তারা বেজায় বিরক্ত হয়েছিলেন । তাই দ্বিতীয় সন্তান জন্মের পর তার নাম কিছুতেই প্রকাশ্যে আনেননি করিনা কাপুর খান । নানাজনে নানাভাবে ছোট পুত্রর নাম জানতে চেয়েছেন । সংবাদমাধ্যম অত্যন্ত ব্যাকুল ছিল তৈমুরের (elder son taimur) ভাইয়ের নাম কী হবে জানার জন্য । কিন্তু সইফ-করিনা কেউই মুখ খোলেননি।
সইফ-করিনা তাঁদের প্রথম সন্তানের নাম রেখেছিলেন তৈমুর। কিন্তু তুরস্কের স্বৈরাচারী শাসক তৈমুরলঙের নামে কেন সইফ-করিনার ছেলের নাম হবে তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছিল । যদিও সেই ঘটনার পরে তারা যে ছেলের নাম বদলে দিয়েছেন এমন নয়। কিন্তু সাবধান ও সতর্ক হয়ে গিয়েছেন। তাই দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর তাঁকে শুধু সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আড়ালে রেখেছেন তা নয়, দীর্ঘ সময় তাঁর নামও সামনে আনেননি।
কিন্তু গত মাসে হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে যায় সইফ-করিনার ছোট ছেলের নাম জেহ। দাদু রণধীর কাপুর ভুলবশত এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই নাম লিখে ফেলেছিলেন, তড়িঘড়ি সেই পোস্ট ডিলিট করে দিলেও সেই স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে যায়। পরে মুম্বইয়ের এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাদু রণধীর বলেছিলেন, ‘করিনা এবং সইফের ছোট ছেলের নাম জেহ রাখা হয়েছে। কিন্তু সত্যিটা এবার সামনে আনলেন মা কারিনা। সোমবার একটি বই প্রকাশিত হয়েছে । লেখিকা কারিনা কাপুর খান । বইটির নাম ‘প্রেগন্যান্সি বাইবেল: দ্য আল্টিমেট ম্যানুয়েল ফর মম টু বি’। আর সেখানেই এই বইয়ের শেষ পাতায় ছোট ছেলের আসল নাম প্রকাশ্যে এনেছেন করিনা। তার নাম জাহাঙ্গির (jahangir)।