করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলেও আগামী এক সপ্তাহ বাংলাদেশের জন্য ক্রিটিক্যাল দাবি বিশেষজ্ঞদের

0
4

খায়রুল আলম , ঢাকা: করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে এনে ছন্দে ফিরছে ঢাকা সহ গোটা বাংলাদেশ। তবে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও ১ অগাস্ট থেকে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি খুলে দেওয়ায় যেভাবে মানুষের জমায়েত বাড়ছে, তাতে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকেরা। এরফলে ফের সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। তাই আগামী এক সপ্তাহ ক্রিটিক্যাল সময় বলে মনে করছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রধান।

আইইডিসিআর এর প্রধান এদিন আরও বলেন, গণপরিবহন ও বাজারহাট খুলে দিলে সাধারণ মানুষকে করোনা বিধি নিষেধ অবশ্যই মানতে হবে। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকেই ভেবে থাকেন লকডাউনের ফলে সুফল আসেনি।কিন্তু করোনার দৈনিক সংক্রমণ যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছিল তাতে লকডাউন ছাড়া পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হত। লকডাউনের ফলেই অধিকাংশ মানুষ বদ্ধ থাকায় সংক্রমণ ২৭ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে ১ অগাস্ট থেকে গার্মেন্টসসহ একাধিক রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় যেভাবে মানুষের জমায়েত বাড়ছে, তাতে আগামী এক সপ্তাহ দেশবাসীর জন্য বেশ ক্রিটিক্যাল সময়। এতে বোঝা যাবে সংক্রমণ পরিস্থিতি কতটা কার্যকর।

মাস্ক পরা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অনেকেই মাস্কের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানেন না। তারা নানা অজুহাতে মাস্ক পরলেও খুলে থুতনির নিচে বা কানের পাশে ঝুলিয়ে রাখেন। কিন্তু সার্জিক্যাল মাস্ক সব সময়ই পরে থাকা যায়। অনেকে মনে করেন মাস্ক নিজের জন্য পরেন। আসলে মাস্ক অন্যকে রক্ষার জন্যও পরা উচিত।’

বর্তমানে গোটা বিশ্বে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ চলছে। এটি খুবই দ্রুত সংক্রমণশীল। আগে যেসব ভ্যারিয়েন্টে রোগীরা আক্রান্ত হত,তাতে রোগীর অবস্থা খারাপ হতে বেশ কিছুদিন সময় নিত। কিন্তু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে দ্রুত রোগীর অবস্থা খারাপ হয়। এক্ষেত্রে অনেকে গাফিলতি করে করোনার নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা শুরু করতে দেরি করেন। এ কারণে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। ফলে রোগীকে আর বাঁচানো যায় না।

বৃহস্পতিবারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসাবে অনুযায়ী করোনায় বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৬৪ জন।