রণকৌশল ছিল বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রকে নানা ভাবে প্রশ্ন করে কোণঠাসা করবে তৃণমূল (Tmc)। পেগাসাস (Pegasus) তো ছিলই, পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-সহ অন্যান্য ইস্যুর পাশাপাশি আরও নানা বিষয়ে জানতে চেয়ে নির্দিষ্ট মন্ত্রকের কাছে লিখিত প্রশ্ন করছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। আর তার উত্তর দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। বৃহস্পতিবার, অভিষেকের প্রশ্ন ছিল কেন্দ্রীয় জাতীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতীন গডকড়ির (Nitin Gadkari) কাছে। পথ দুর্ঘটনায় দেশে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। তা কমানোর কী পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র? কত বরাদ্দ করা হয়েছে তার জন্য? জনসচেতনতার কাজেই বা কী ব্যবস্থা করা হচ্ছে? এইসব প্রশ্নমালাই তুলে ধরেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। উত্তর দিতে রীতিমতো নাজেহাল হয়েছেন গডকড়ি।
দেশে প্রতিবছর পথ দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু কেন বাড়ছে কেন্দ্রের কাছে তার জবাব চান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। অভিষেকের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনা কমাতে এবং পথ নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে সরকার একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। শিক্ষা, ইঞ্জিনিয়ারিং এনফোর্সমেন্ট এবং এমারজেন্সির মত বেশ কয়েকটি পৃথক জিনিসের উপর ভিত্তি করে এই নিরাপত্তা বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিভিন্ন বৈদ্যুতিন মাধ্যমে পথ নিরাপত্তার বিষয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে চলছে মানুষকে সচেতন করে তোলার কাজ। সংবাদপত্র (News Paper) এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও এই কাজে লাগানো হয়েছে। জাতীয় সড়কগুলিতে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে যাতে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমিয়ে আনা যায় সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মোটর ভেহিকেল সংশোধনী আইন ২০১৯ পাশ করা হয়েছে বলেও জানান গডকড়ি। এই আইন অনুযায়ী, পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ম ভাঙলে মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায় করা যায়। তবে, সুনির্দিষ্ট ভাবে কোন খাতে কত বরাদ্দ, বা কোথায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি গডকড়ি।
আরও পড়ুন:জল যন্ত্রণা কমতেই এলাকায় বিজেপি বিধায়ক, বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা