ফের গেরুয়া রাজ্যে নৃশংসভাবে পিটিয়ে মারা হলো বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিককে(Migrate worker)। গত রবিবার হরিয়ানার(hariyana) গুরুগ্রামে(gurugram) পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে পাথরপ্রতিমার এক যুবককে। মৃত ওই যুবকের নাম পরমেশ্বর ধারা(Parmeshwar dhara)।
জানা গিয়েছে, পরমেশ্বর গত ৭ মাস আগে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে হরিয়ানাতে যায়। সঙ্গে স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলেন। রবিবার তাঁকে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে গ্রামে খবর আসে। কিন্তু আর কিছুই জানতে পারা যায়নি। পরমেশ্বরকে বাঁচাতে এসে তাঁর স্ত্রীও আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধা মা ও এক নাবালক ছেলেকে রেখে গিয়েছিলেন পরমেশ্বর। উৎকন্ঠায় আছেন বৃদ্ধা মা ও প্রতিবেশীরা। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার। মৃত পরমেশ্বর ধারার বৃদ্ধা মা সত্যভামা ধারা বলেন, “ওই ছেলেটা খুব কষ্টে ওখানে ছিল। গাড়ি ধোওয়া থেকে আবর্জনা পরিষ্কার, সব কাজ করত। আমার বৌমাও কাজ করত। কিন্তু কোথা থেকে কি হল বুঝতে পারছি না। আমরা চাই দেহটা আগে ফিরুক। দোষীরা যেন উপযুক্ত সাজা পায়।”
আরও পড়ুন:বুধে সোনিয়ার সঙ্গে ‘চায়ে পে চর্চা’ মমতার, বৈঠকের সম্ভাবনা শরদ-সঞ্জয়দের সঙ্গেও
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পরমেশ্বর একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। হরিয়ানা থেকে প্রতি মাসে বাড়ির জন্য টাকা পাঠাতেন। কিন্তু এখন কী করে চলবে সংসার! ভেবে পাচ্ছেন না কেউ। প্রতিবেশীরাও সরব হয়েছেন। সরকারের কাছে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, মাস দুয়েক আগে পাথরপ্রতিমার অসিত দাস নামে এক যুবককে দিল্লিতে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। অসিতও পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার ঘটল এই ঘটনা। পাথরপ্রতিমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষ ভিন রাজ্যে কাজের সূত্রে পাড়ি দেয়। পর পর দুটি ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।















































































































































