মমতার দিল্লি সফরের আগেই অভিষেকের সমর্থনে টুইট কংগ্রেসের, রাজনৈতিক মহলে জল্পনা

0
4

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) দিল্লি সফরের আগে কাছাকাছি এল কংগ্রেস-তৃণমূল। রবি সকালে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) পাশে দাঁড়িয়ে টুইট করল জাতীয় কংগ্রেস(Congress)। যেখানে পেগাসাস ইস্যুতে অভিষেকের ফোনে নজরদারির তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। শুধু তাই নয় কংগ্রেসের এই টুইট রিটুইট করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন(Derek O’Brien)। যেখানে তিনি লেখেন, ‘খেলা হবে’। আর এই ঘটনা রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়িয়েছে কংগ্রেস- তৃণমূলের(TMC) জোট সম্ভাবনা নিয়ে।

বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর জাতীয় রাজনীতিতে অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন মমতা। সম্প্রতি একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মহাজোটের বার্তা দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। আগামী ২৮ জুলাই দিল্লি সফরে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে দলীয় সাংসদদের পাশাপাশি বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও এই সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করবেন বলে জানা যাচ্ছে। তার ঠিক আগে কংগ্রেসের এই টুইট রাজনীতিতে জল্পনা বাড়িয়েছে।

আরও পড়ুন:মন কি বাত: মোদি এড়িয়ে গেলেন সব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুই

রবিবার সকালে পেগাসাস ইস্যুতে বিজেপিকে তোপ দেগে একটি টুইট করে কংগ্রেস। যেখানে সরাসরি তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর নজরদারির প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়। টুইটে অভিষেকের ছবিসহ লেখা হয়, “আপনারা ক্রোনোলজি বুঝুন। পেগাসাস দিয়ে নজরদারি চালানো হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। এটি করা হয় ২০২১ সালে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে। মোদি সরকারের নিরাপত্তাহীনতা চরম আকার নিয়েছে।” পেগাসাস ইস্যুকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই একযোগে সংসদে সরব হয়ে উঠেছে কংগ্রেস তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধীরা। তবে সেখানে কংগ্রেসের তরফে আলাদা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেগাসাস টার্গেট করার প্রতিবাদ করার ঘটনা নিশ্চিত ভাবেই রাজনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ।

উল্লেখ্য, ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে গদি ছাড়া করতে ইতিমধ্যেই বার্তা দিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই লক্ষ্যে বৃহত্তর স্বার্থে ছোটখাট ব্যক্তিগত স্বার্থ বিসর্জন দিতেও পিছপা হবেন না তিনি। কংগ্রেসের অবস্থানও খানিকটা সেরকমই। এমনিতেই বামেদের সঙ্গে জোট করে পশ্চিমবঙ্গে শূন্যে নেমে এসেছে কংগ্রেস। তবে জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে বামেরা শক্তিশালী না হলেও কংগ্রেসের গুরুত্ব অপরিসীম। এদিকে বঙ্গে বাম তৃণমূল জোটের মূল বাধা অধীর চৌধুরীও সুর নরম করে ফেলেছেন তৃণমূলের প্রতি। সবমিলিয়ে অভিষেকের সমর্থনে কংগ্রেসের টুইট চব্বিশের লড়াইয়ে তৃণমূলকে বাড়তি অক্সিজেন যোগাচ্ছে।