দিনে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমই একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য পর্যাপ্ত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। খুব বেশি হলে তা ১০-১২ ঘণ্টা। যদিও সেটাকে অতিরিক্ত ঘুম বলেই মনে করেন চিকিৎসকরা। যদিও সদ্যজাতদের ক্ষেত্রে হিসেবটা একটু আলাদা। তা বলে বছরের ৩০০ দিনই ঘুমিয়ে থাকাকে কার্যত ভাবাই যায় না। যদিও এটা অবস্তাব মনে হলেও সত্যি। রাজস্থানের পুরখারাম মাসে ৫ দিন বাদে রোজই ঘুমোন। তাই স্থানীয়রা তাঁকে ‘কুম্ভকর্ণ’ বলেই আখ্যায়িত করেছে।
ছোট শহরের বাসিন্দা পুরখারাম একটি মুদির দোকানের মালিক। কিন্তু মাসে মাত্র পাঁচ দিনই তা খুলতে পারেন। বাকি দিনগুলিতে পুরোপুরি ঘুমিয়ে কাটান তিনি। সবমিলিয়ে বছরের ৩০০ দিনই ঘুমিয়ে কাটে তাঁর। বহু চিকিৎসক দেখিয়েও কোনও লাভ হয়নি। চিকিৎসকেরা বলছেন তিনি ‘অ্যাক্সিস হাইপারসমনিয়া’য় আক্রান্ত। যাতে ঘুম ভাঙতেই চায় না।এই রোগে দিনের পর দিন মানুষ ঘুমিয়ে কাটান। পুরখারামের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এমনকি দোকানেও বসে বসেও ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন তিনি। ঘুমন্ত অবস্থাতেই তাঁর পরিবারের লোকেরা তাঁকে স্নান করিয়ে দেন। এমনকি সময়মত খাইয়েও দেন। পুরখারামের মা এখনও বিশ্বাস করেন, একদিন ঠিক এই রোগ থেকে মুক্তি পাবে তাঁর ছেলে।
‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন’(এনসিবিআই)-এর রিপোর্টে বলছে, আমাদের দেশের সমগ্র নাগরিকদের মধ্যে প্রায় তিন থেকে চার শতাংশ এই সমস্যায় ভুগছেন।এর কারণে মূলত দিনের বেলায় ঘুমের চাহিদা বেড়ে যায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় ঘুমিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। জীবনের স্বাভাবিক ছন্দও ব্যাহত হয়।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.
































































































































