করোনাকালে যে রাজ্য থেকে গঙ্গায় ভাসানো হয়েছিল হাজার হাজার লাশ, বেহাল চিকিৎসাব্যবস্থার করুণ ছবি দেখেছিল গোটা দেশ। সেই উত্তর প্রদেশকেই এবার করোনা মোকাবিলায় দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন। যদিও মোদির সার্টিফিকেটের পিছনে রাজনৈতিক চাল দেখছেন বিরোধিতা। কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশে ভোট। এদিকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তির বেহাল দশা একের পর এক ব্যর্থতার জেরে। ফলস্বরূপ ক্ষতে মলম লাগাতে নামানো হয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তাই নরেন্দ্র মোদি আদিত্যনাথকে পাশে বসিয়ে ভোটকে নজরে রেখে উত্তর প্রদেশকে একশোয় একশো দিয়ে দিলেন করোনা মোকাবিলায়। তবে যোগীর প্রশংসায় মোদি পঞ্চমুখ হয়ে উঠলেও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না বিরোধীরা।
বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশে নিজের লোকসভা ক্ষেত্র বারাণসীতে একই সঙ্গে দেড় হাজার কোটি টাকার নতুন প্রকল্পের শিলান্যাসের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই তালিকায় রয়েছে রুদ্রাক্ষ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার-সহ একাধিক প্রকল্প। এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় যোগী সরকার অতুলনীয় কাজ করেছে। সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য হয়েও দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোভিড পরীক্ষা করেছে উত্তরপ্রদেশে। সবচেয়ে বেশি মানুষের টিকাকরণও করেছে এই রাজ্য।” এখানেই থামেননি, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি, মেডিকেল অক্সিজেনের ব্যবস্থা নিয়ম যোগীর প্রশংসা করেন মোদি। এরপরই বিরোধীদের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, যে রাজ্য থেকে হাজার হাজার লাশ ভেসে গিয়েছে নদীতে। মৃতের সংখ্যা চাপা দিতে শ্মশান ঢাকতে হয়েছে, অক্সিজেনের অভাবে শত শত মানুষের মৃত্যুর ছবি গোটা বিশ্ব দেখে ফেলেছে। কীভাবে সেই রাজ্য সরকারকে এমন ধারা সার্টিফিকেট দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী?
আরও পড়ুন:স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও কি রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের প্রয়োজন আছে? কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
যদিও এই সার্টিফিকেটের পিছনে অত্যন্ত নিম্নমানের রাজনৈতিক চাল রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে বিরোধীদের তরফে। শুধুমাত্র আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনকে নজরে রেখেই এতো উদ্যোগ মোদির। বিরোধীদের অভিযোগ সেই লক্ষ্যেই দেড় হাজার কোটি টাকার নতুন প্রকল্পের ঘোষণা ও উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ভাবমূর্তি ঠিক করতে শেষবেলায় মিথ্যাকে আশ্রয় করে ছলা-কলা করতে হচ্ছে খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রীকে।














































































































































