নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবস্থা নিতে কড়া দলত্যাগ বিরোধী আইনের পথে কেন্দ্র, ইঙ্গিত স্পিকারের

0
1

বিধায়ক হোক বা সাংসদ, দলত্যাগের পর পুরনো দলের সমস্ত রকম সুবিধা নেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। যা নিয়ে সমস্যাও কম নেই। এই পরিস্থিতিতে লাগাম টানতে এবার দলত্যাগ বিরোধী আইনে সংশোধন (Anti defection law) আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দলবদলুদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই আনা হবে এই সংশোধন। জানা যাচ্ছে, হয়তো আসন্ন বাদল অধিবেশনে(monsoon session) আসতে পারে এই বিল। আর সেই জল্পনা সোমবারই উস্কে দিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা(Om Birla)।

গত সোমবার সংসদে সাংবাদিক বৈঠকে দলত্যাগ বিরোধী আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন বিড়লা। এরপরই অনুমান করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে। ওই সাংবাদিক বৈঠকে দলবদল সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে ওম বিড়লা বলেন, “নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রক্রিয়া পালন হওয়া উচিত। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করব, যাতে তারা দলবদল সংক্রান্ত আইন সংশোধনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়।”

আরও পড়ুন:মুকুলকে কেন PAC চেয়ারম্যান? প্রতিবাদে ৮টি কমিটি থেকে ইস্তফা বিজেপি বিধায়কদের

বলার অপেক্ষা রাখে না এই আইন পাস হলে সারাদেশের জন্যই তা লাগু হবে। আর এখানেই উঠে আসছে বাংলার প্রসঙ্গ। সম্প্রতি মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বিধানসভায় পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসেছেন। এই ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্য বিজেপিকে। মূলত এই পদ কোনও প্রবীণ বিরোধী বিধায়কের জন্যই বরাদ্দ থাকে। সে দিক থেকে তৃণমূলে যোগ দিলেও খাতায়-কলমে মুকুল রায় বিজেপি বিধায়ক। ফলে পিএসি পদে বসায় আইনত কোনও সমস্যা নেই মুকুলের। তবে তিনি বর্তমানে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। অন্যদিকে, নৈতিকতার পাঠ দেওয়া বিজেপিকে পাল্টা তৃণমূল প্রশ্ন ছুড়েছে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ হওয়া শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েও কেন সাংসদ পদ ধরে রেখেছেন? টালমাটাল এহেন পরিস্থিতি সামাল দিতেই নয়া এই আইনের পথে হাঁটতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।