করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর শুধু মানা হচ্ছে রীতি, হচ্ছে না মাহেশে ৬২৫তম বর্ষের রথযাত্রা Rathyatra)। টান পড়বে না রথের রশিতে। ঘুরবে না রথের চাকা। তবে নিয়মমেনে হচ্ছে জগন্নাথ (Jagannath), বলরাম (Balaram), সুভদ্রার (Subhadra) পুজো অর্চনা।
আজ থেকে ৬২৫ বছর আগে সন্ন্যাসী স্বামী ধ্রুবানন্দ মাহেশে যে রথযাত্রার প্রবর্তন করেছিলেন তা আজও হয়ে আসছে। প্রতিবছর এই রথযাত্রা উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই রাজ্যের বাইরে থেকেও লক্ষ লক্ষ মানুষ যান। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই উৎসবে চৈতন্যদেব, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রামকৃষ্ণ পরমহংস, সারদামণি থেকে শুরু করে বহু মনীষীর কোন না কোন সময়ে মাহেশে যান।
এই রথ উৎসবকে ঘিরে সেখানে একমাস ব্যাপী বিশাল মেলা হয়। দোকানিরা হরেকরকম পসরা নিয়ে এই মেলায় হাজির হন। কিন্তু গত দু’বছর ধরে সারা পৃথিবী জুড়ে করোনার দাপটে সমস্ত কিছু থমকে গিয়েছে। থমকে গিয়েছে মাহেশের রথ উৎসবও। তাই নেই কোনও ব্যস্ততা। স্নানপিঁড়ির মাঠে বসেনি কোনো মেলার স্টল। মন্দির ট্রাস্টের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী (Piyal Adhikari) জানিয়েছেন, নিয়ম রীতি মেনেই রথের দিন সকালে তিন বিগ্রহকে মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বের করে মন্দিরের চাতালে রাখা হচ্ছে। কোভিড বিধি মেনেই মন্দিরে প্রবেশ অধিকার থাকবে ভক্তদের। বিকাল সাড়ে তিনটেয় জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রাকে মন্দিরের চাতাল থেকে মূল মন্দিরের পাশেই অস্থায়ী মাসির বাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রভু, জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রাকে। সেখানেই ৮ দিন অবস্থান করবেন তাঁরা। বেলা চারটের সময় জগন্নাথ দেবের প্রতিভূ হিসেবে নারায়ণ শিলাকে রথের চারিদিকে তিনবার প্রদক্ষিণ করিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে জগন্নাথ মন্দির থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে মূল মাসির বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর আটদিন সেখানেই চলবে নারায়ণ শিলার পুজো। উল্টোরথের দিন নারায়ণ শিলাকে যথাযথ মর্যাদায় মাহেশের মূল মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে।
আরও পড়ুন:গভীর রাতে দিল্লি থেকে গ্রেফতার হাওড়ার ভুয়ো CBI অফিসার শুভদীপ