শিক্ষক পদে চাকরি(school service) পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল মেদিনীপুরে(Medinipur)। বড়সড় এই জালিয়াতির(fraud case) ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের মধ্যে দুজন অধিকারীর(suvendu Adhikari) ঘনিষ্ঠ বলে জানা যাচ্ছে পুলিশ সূত্রে। অভিযোগ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জাল নিয়োগ পত্র তৈরি করে তা দিয়ে বিভিন্ন সরকারি স্কুলে পাঠানো হচ্ছিল চাকরিপ্রার্থীদের। প্রতারিতদের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম সুজিত পয়ড়্যা। জানা গিয়েছে, একটি ভুয়ো কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আড়ালে প্রতারণা চক্র ফাঁদ পেতে বসেছিল অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁথি সহ আরও একাধিক জেলায় এই কম্পিউটার সেন্টার খুলে জালিয়াতি চক্র চালাচ্ছিল অভিযুক্তরা। আরও কে কে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। সুজিত ছাড়াও এই প্রতারণা চক্রে আরও ১১ জনের নাম রয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ। এই তালিকায় রয়েছে রাখাল বেরা ও হিমাংশু মান্না এরা দুজনেই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:রাজ্য বিজেপিতে বড়সড় সাংগঠনিক রদবদল? দিলীপকে হঠাৎ তলব নাড্ডার
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে কাঁথির কলেজ রোডে সিস্টার নিবেদিতা সাক্ষরতা মিশন নামে একটি কম্পিউটার সেন্টার খোলে সুজিত। তার আড়ালেই চলতে থাকে চাকরি দেওয়ার প্রতারণা চক্র। প্রথমে তৈরি করা হয় একটি হুয় সরকারি লোগো দেওয়া ওয়েবসাইট। তাতে শিক্ষক পদে নিয়োগের ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ওই বিজ্ঞপ্তি দেখে কেউ যোগাযোগ করলে তার কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে আদায় করা হতো মোটা টাকা। জাল নিয়োগপত্রের দিয়েই স্কুলে পাঠানো হতো প্রার্থীদের। ওই নিয়োগপত্র দেখে সন্দেহ করতো না কেউই। প্রথম মাসের বেতন নিজের পকেট থেকেই দিত অভিযুক্ত। এমনই ঘটনার জেরে সৌম্যব্রত পাল নামে এক ব্যক্তি সুজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে থানায়। এরপরই গ্রেফতার করা হয় ওই জালিয়াতকে।














































































































































